লাদাখে সীমান্ত নিয়ে চিন-ভারত সংঘর্ষের পর এই প্রথম আমেরিকা ভারতীয় সেনার পাশে থাকার আশ্বাস দিল। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মিডোজ ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, ভারত-চিন সীমান্ত মীমাংসার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব চিন এবং ভারত গ্রহণ করেনি।
কিন্তু এই ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে দাঁড়ানোর স্পষ্ট বার্তা দেওয়ায় তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। কারণ ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে বার্তা দিল আমেরিকা। ভারতের পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকা, গোগরা হট স্প্রিং সহ একাধিক এলাকায় গত আট সপ্তাহ ধরে ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্তে মুখোমুখি উভয় দেশের সেনা।
বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ারও খবর রয়েছে চিনা সেনার। গত মাসে উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে কুড়ি ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এর পর থেকেই দু দেশের সেনার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সম্প্রতি খবর পাওয়া গিয়েছে দু’দেশেরই সেনা সীমান্ত থেকে সরতে শুরু করেছে।
এদিকে আগাম সতর্কতা হিসেবে চিনকে টক্কর দিতে লাদাখে বায়ুসেনার অ্যাপাচে মোতায়েন করা হয়েছে। সুখই যুদ্ধ বিমানের পাশাপাশি অ্যাপাচে হেরিকপ্টার মোতায়েন করে ভারত সীমান্তে তার নজরদারি আরও মজবুত করল বলে সেনা সূত্রের খবর।
গতমাসে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পাঁচটি অ্যাপাচের শেষ ব্যাচটি এসে পৌঁছেছে। কোভিড ১৯ বিধি মেনে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলি বায়ুসেনার কপ্টার বহরে যোগ দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে পাঁচটি অ্যাপাচেকে পূর্ব লাদাখে পাঠানো হচ্ছে।
অ্যাডভান্স অ্যাটাক কপ্টার একসঙ্গে ১২৮টি লক্ষ্য বস্তু চিহ্নিত করতে পারে। একই সঙ্গে আঘাত হানতে পারে বারোটিতে। দু মিনিটে বারোশো রাউন্ড গুলি ছোঁড়া যায়। এছাড়া, সীমান্তের দুর্গম এলাকাগুলিতে দ্রুত সেনা, অস্ত্র এবং রসদ পৌঁছে দিতে সিএইচ-৪৭ ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।