কৃষি আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে ফের বসতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে চিঠি দিল সংযুক্ত কিষাণ মাের্চা। তাদের এই বিষয়ে হুঁশিয়ারি, এই আলােচনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সদর্থক জবাব না মিললে আন্দোলনের ঝাঁঝও যে আরও বাড়ানাে হবে, তাও জানানাে হয়েছে কিষাণ মাের্চার তরফে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের সরকারের মাথা আপনি। তাই কৃষকদের সঙ্গে আলােচনা পুনরায় শুরুর দায়িত্ব আপনার হাতেই আছে।’
অন্যদিকে এই করােনা পরিস্থিতির মধ্যেই দিল্লির সিংঘু, গাজিয়াবাদ, তিখড়ি, ধানসা ও শাহজাহানপুরে প্রতিবাদ করছেন কৃষকরা। এমনকি আন্দোলনরত অবস্থায় কয়েকজন কৃষক কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তবে এই অবস্থাতেও নিজেদের দাবি থেকে একচুল সরতেও রাজি নন কৃষকরা। উপরন্তু তাদের দাবি, এই বৈঠক নিয়ে কেন্দ্র ইতিবাচক পদক্ষেপ না করলে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই দেশজুড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াবেন কৃষকরা।
ইতিপূর্বেই অবশ্য বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের ১১ দফা আলােচনা হয়েছে। শেষ দফা বৈঠকে আইন প্রণয়ন ১৮ মাসের জন্য পিছিয়ে দিতে রাজি হয় মােদি সরকার। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি কৃষকরা। তারা আইন বাতিলের দাবিতেই সরব ছিলেন।
আগামী ২৬ মে কৃষক আন্দোলনের বয়স হবে ছ’মাস। ওই দিন সারা দেশে ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মাের্চা। এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই সংগঠনের শীর্ষ নেতা বলবীর সিং রাজেওয়ান এই কথা জানিয়েছেন। ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন থেকে রাজেওয়ান জানান, ‘২৬ মে কৃষক আন্দোলন ছ’মাসে পা দেবে। আবার ওই দিনই মােদির নেতৃত্বাধীন সরকার ৭ বছরে পা দেবে। আর এই সরকার কৃষিবিরােধী। তাই ওই দিন দেশজুড়ে কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছি।’
তবে করােনা পরিস্থিতিতে কৃষকরা জড়াে হয়ে আন্দোলন করবেন না। বদলে নিজেদের বাড়ি, ট্রাক্টর, দোকানে কালাে পতাকা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানানাে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওইদিন বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে।