পুলিশ আধিকারিককে হুমকি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র আইপিএস অফিসারকে হুমকি এবং মিথ্যা অভিযোগের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, তাঁর ছেলে নিখিল কুমারস্বামী এবং তাঁদের সহযোগী সুরেশ বাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বেঙ্গালুরু পুলিশ।

কর্নাটক লোকায়ুক্তের অধীনে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এম চন্দ্রশেখরের অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জয়নগর থানার পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। এফআইআরে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে কুমারস্বামীর।

পুলিশ আধিকারিকের অভিযোগ, কর্নাটকের রাজ্যপাল কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছেন। শ্রী সাই ভেঙ্কটেশ্বর মিনারেলস (এসএসভিএম)-কে খনির লিজ ‘অবৈধ’ভাবে অনুমোদন করেন কুমারস্বামী। সেই ঘটনায় পদক্ষেপ করার অনুমতি মেলার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন।


চন্দ্রশেখর বলেন, ২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর কুমারস্বামী এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন, হুমকিও দেন। উনি (কুমারস্বামী) আমাকে মৌখিকভাবে হুমকি দেন, কর্নাটক ক্যাডার থেকে আমাকে অন্য ক্যাডারে বদলি করে দেবেন। ঘুষ নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগও তোলা হয়েছে। তিনি আমার পরিবারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছেন। দাবি করেছেন, আমি ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের (আইপিএস) কর্নাটক ক্যাডারে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য জাল মেডিক্যাল রেকর্ড ব্যবহার করেছি।

এডিজি আরও বলেন, নিখিলও ২৯ সেপ্টেম্বর এই জাতীয় অভিযোগ করেছিলেন। কুমারস্বামীর সহযোগী বাবু আমার বিরুদ্ধে কর্নাটকের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে সোশাল মিডিয়ায় সেই চিঠি প্রকাশ্যে এনে হুমকি দেন। অক্টোবরে অভিযোগ দায়ের করা হলেও ৪২-তম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (এসিএমএম) অনুমতি নিয়ে ৪ নভেম্বর এফআইআর দায়ের করা হয়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ২২৪ ধারা (সরকারি কর্মীকে আঘাতের হুমকি) প্রয়োগ করেছে পুলিশ। কুমারস্বামীর বক্তব্যের পরে, চন্দ্রশেখর তাঁর কর্মীদের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি বলেন, জামিনে মুক্ত থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমার অফিসারদের উৎসাহ কমানোর জন্য আমাকে নিশানা করছেন।

তিনি বলেন, জামিনে থাকা কুমারস্বামী আমাকে আক্রমণ করে সিটের অফিসারদের মনে ভয় তৈরির চেষ্টা করেছেন। এটা মনে রাখা উচিত, অভিযুক্ত যত বড়ই প্রভাবশালীই হোন না কেন, তিনি অভিযুক্ত।

নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ’কে উদ্ধৃত করে এডিজিপি আরও বলেন, শূকরের সঙ্গে কখনও কুস্তি করবেন না। এতে তোমরা দু’জনেই নোংরা হয়ে যাবে, আর শূকরটা এটা পছন্দ করে।