নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১২ দফা নতুন নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের 

আর জি কর কাণ্ডের আবহে এইমস-সহ দেশের প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থাগুলিতে সুরক্ষা ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১২টি নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রের অধীনে থাকা প্রতিটি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থায় নিরাপত্তা আরও অন্তত ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। রাত্রে কর্তব্যরত মহিলা কর্মীকে একা রাখা যাবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যূনতম দুজন মহিলা কর্মী রাখতে হবে। বাড়াতে হবে আলোর ব্যবস্থা । কর্মক্ষেত্র থেকে হস্টেল বা বাড়ি যাওয়ার পরিবহণ সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে।

আর জি করে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ভয়াবহ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর তোলপাড় গোটা দেশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সরকারি হাসপাতালের অন্দরে এই ধরণের নৃশংস খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভিত। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে , যেসব ওয়ার্ড ও অন্যান্য জায়গায় মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন, সেখানের ডিউটি রুমে যেন ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে । এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরার বন্দোবস্ত করতে হবে।  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করতে হবে।  প্রতিটি প্রবেশ ও প্রস্থান-এর  দরজায় কড়া নজরদারি থাকবে । এছাড়াও প্রয়োজনে মার্শাল নিয়োগ, কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, সেসব ক্ষেত্রে কী কী করা উচিত তার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
 
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে  মোট ১২ দফার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধানদের দ্রুত এই নির্দেশিকাগুলি বাস্তবায়িত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত তার পর্যবেক্ষণ হবে। এর পাশাপাশি মক ড্রিল করারও নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও অন্যান্য জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথাও বলা হয়েছে।
 
নির্দেশিকায়  রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। রোগী বা রোগীর পরিবার যাতে কোনভাবে বিভ্রান্ত না হন তা সুনিশ্চিত করতে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।