সরকারি টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল-এর সংযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। যােগাযােগ মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, সরকারি এই সংস্থা দু’টির কোনও অংশই বেসরকারি হাতে দেওয়া হবে না বা বন্ধ করা হবে না। বরং সংস্থা দুটি যাতে খােলা বাজারের অন্যান্য যােগাযােগ সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযােগিতায় সাফল্য পায় সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, এমটিএনএল ও বিএসএনএল সংস্থায় সভারেন বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়ােগ করা হবে। দুটি সংস্থাই ২০১০ সাল থেকে লােকসানে চলছে। একারণে উভয় সংস্থার কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে সরকার পরিচালিত ঋণগ্রস্ত মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড ও ভারত সঞ্চার নিগমের সংযুক্তিতে সম্মতি জানানাে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির পৌরােহিত্যে অনুষ্ঠিত অর্থনীতি বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সম্মতি জানানাে হয়েছে। সরকার সভারেন বন্ডের মাধ্যমে পনেরাে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে দুটি সংস্থার উজ্জীবনে বিনিয়ােগ করবে বলে জানান দফতরের মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
তিনি জানান, দুটি সংস্থার আটত্রিশ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সদ্ব্যবহারের বিষয়টিতে আগামী চার বছর নজরদারি চালানাে হবে। এছাড়া, কর্মী সংখ্যা হ্রাসের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাবসরের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সংস্থার ব্যয় হবে প্রায় ত্রিশ হাজার কোটি টাকা। উভয় সংস্থার কর্মীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, বিএসএনল ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে পরিচালন মুনাফা করলেও এমটিএনএল কোনও সময়েই লাভের মুখ দেখতে পায়নি। বিএসএনএলের লােকসানের পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা এবং রাজস্ব হ্রাসের পরিমাণ ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে উনীশ হাজার কোটি টাকা। একারণেই সংস্থার পক্ষে সরকারের কাছে ২০০৯ সালে দাখিল করা স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প অনুমােদনের জন্য ২০১৫ সালে পুনরায় অনুরােধ জানানাে হয়।