পাকিস্তান স্থিত ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী সোমবার সকাল থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়। তাদের পাকিস্তান ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে সরকারি সুত্রে জানানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে এব্যাপারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী, উভয়েই গাড়ি চালক, সকাল থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় বলে ভারতের পক্ষে অভিযোগ করা হয়। দিনভর দু’দেশের টানাপোড়েনের পর অবশেষে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী মুক্তি পেলেন পাকিস্তানে। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের হাতে তাদের তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। সাউথ ব্লক সুত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। ঠিক কি কারণে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই দুই কর্মীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সাউথ ব্লক সুত্রে খবর দুই ভারতীয়কে ইসলামাবাদের সেক্রেটারিয়েট থানায় রাখা হয়েছিল। যেখান থেকে ভারতীয় হাইকমিশনের দূরত্ব দুই কিমি.। সোমবার এই নিয়ে দু’দেশের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। অবশেষে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের দুই আধিকারিক তাদের ছাড়াতে ইসলামাবাদের সেক্রেটারিয়েট থানায় যান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করার পর আটক দু’জনকে ভারতীয় আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য দুই সপ্তাহ আগে দিল্লিতে পাকিস্তানী দূতাবাসের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে চরবৃত্তি করার অপরাধে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। পাকিস্তান দূতাবাসের দুই কর্মী ভিসা সেকশনে কাজ করতেন। এদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তি করার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরপরেই পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর বিরক্তিকরভাবে নজরদারি চালানো হতে থাকে। এব্যাপারে ভারতের পক্ষে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
সম্প্রতি ভারতীয় দূতাবাসের দায়িত্বে থাকা গৌরব আলুওয়ালিয়ার গাড়ির পিছু নেয় আইএসআই গোয়েন্দারা। মার্চ মাসে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের কাছে। এ ব্যাপারে কেবলমাত্র মার্চ মাসেই ভারতীয় দূতবাসের কর্মীদের তেরোবার নানাভাবে হেনস্থার কথা জানানো হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রকের পক্ষেও বিষয়টি পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে জানিয়ে অবিলম্বে এমন নীতিবিরুদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে কাশ্মীরে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা ও সীমান্তে গোলাগুলি চালানো বন্ধ না করার ফলেই।