• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

সামর্থ্য নেই, অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত দুই সন্তানের দেহ কাঁধে করে পথ পেরোলেন দম্পতি 

ফের এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী রইল মহারাষ্ট্র। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত দুই সন্তানের দেহ কাঁধে করে কর্দমাক্ত পথ পেরোলেন এক দম্পতি। জ্বরে ভুগছিল দুই শিশুপুত্র। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি দম্পতি। হাসপাতাল বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার  দূরে। অ্যাম্বুলেন্স  ভাড়া  করে সন্তানদের নিয়ে যাবেন সেই সামর্থ্যও ছিল না। তাই নিজেরাই ১৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে অসুস্থ দুই সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই সন্তানের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সময়মতো চিকিৎসা না মেলায় দুই শিশুরই মৃত্যু হয় ।

ফের এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী রইল মহারাষ্ট্র। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত দুই সন্তানের দেহ কাঁধে করে কর্দমাক্ত পথ পেরোলেন এক দম্পতি। জ্বরে ভুগছিল দুই শিশুপুত্র। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি দম্পতি। হাসপাতাল বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার  দূরে। অ্যাম্বুলেন্স  ভাড়া  করে সন্তানদের নিয়ে যাবেন সেই সামর্থ্যও ছিল না। তাই নিজেরাই ১৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে অসুস্থ দুই সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই সন্তানের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সময়মতো চিকিৎসা না মেলায় দুই শিশুরই মৃত্যু হয় ।

 
দুই সন্তানের মৃত্যুতে দিশাহারা  দম্পতি ফের সন্তানদের দেহ গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু তখনও  অ্যাম্বুলেন্স মেলেনি।  তাই উপায় না দেখে যেভাবে দুই সন্তানকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন, সেভাবেই আবার মৃত দুই সন্তানকে কাঁধে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
 
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সমালোচনায় বিদ্ধ হয় রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা।তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে ওড়িশার কালাহান্ডির বাসিন্দা দানা মাঝির স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয় সরকারি হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ৬৭ কিলোমিটার পথ মৃতদেহ বয়ে নিয়ে গিয়ে পৌঁছন নিজের গ্রামে। একই ছবি দেখতে পাওয়া যায় ২০২২ সালেও। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে নিজের সন্তানের দেহ কাঁধে করে বাড়ি ফিরতে হয় এক ব্যক্তিকেও। ২০২৪ এও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ছবিটা কী সেই একই থেকে যাবে বছরের পর বছর ? উঠছে প্রশ্ন।