জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। উমরকে দেশদ্রোহিতা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এদিন উমরের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকে নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির দাঙ্গায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই হিংসায় অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিল উমর খালিদ, এমনটাই বলছে দিল্লি পুলিশ। হিংসার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হােসেনের সঙ্গে উমর খালিদের প্রত্যক্ষ যােগাযােগ ছিল।
দু’জনের শলাপরামর্শই হিংসাকে আরও বাড়াতে ভূমিকা নিয়েছিল বলে জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। সেই সময় দিল্লিতে চলছিল সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযােগ ছিল উমর খালিদের বিরুদ্ধে।
রবিবার উমরকে দিল্লি পুলিশ সকাল থেকে টানা ১১ ঘণ্টা জেরার পর গভীর রাতে গ্রেফতার করে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উমরকে দিল্লির আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজত দেন। প্রযুক্তিগত ডেটা ও অন্যান্য বিষয় জানতে পুলিশ উমরকে দশদিনের জন্য হেফাজতে চায়।
আদালত আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উমরকে পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়। ২৪ সেপ্টেম্বর ফের তাকে আদালতে পেশ করতে হবে। এই দশদিন উমর খালিদ প্রতিদিন তার আইনজীবীর সঙ্গে আধঘণ্টা কথা বলতে পারবেন, সেই সময় কোনও পুলিশ উপস্থিত থাকতে পারবে নাত।
এই ছাত্রনেতার গ্রেফতারের ঘটনায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সরব হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উমর খালিদকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল দেশদ্রোহিতার অভিযােগে। সেই সময় কানহাইয়া কুমারকেও গ্রেফতার হতে হয়েছে ভারত বিরােধী স্লোগান দেওয়ার অপরাধে। পরে অবশ্য দু’জনেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিল।