সিএমের কুর্দি বাঁচাতে পারেননি শত চেষ্টা করেও। কিন্তু তাই বলে দলের কর্তৃত্ব ছাড়তে নারাজ মারাঠা সৈনিক উদ্ধব ঠাকরে। আর তাই একনাথ শিন্ডের শিবসেনা দখল করে দেওয়ার আগেই শুক্রবার সাংগঠনিক স্তরে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন শিবসেনা প্রধান।
পার্টির প্রধান হিসেবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে উদ্ধব জানিয়ে দিয়েছেন, দল বিরোধী কাজের জন্য একনাথ শিন্ডেকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে।
শিবসেনা পক্ষ প্রমুখ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত তিনি ঘোষণা করেছেন। সেইসঙ্গে দলের সদস্যপদও কেড়ে নেওয়া হয়েছে শিন্ডের থেকে।
মারাঠা মুলুকে সমস্ত শিব সৈনিকের কাছে মাতোশ্রী এখনও মন্দিরের মতো। বান্দ্রা বাড়ি থেকে বালাসাহেব ঠাকরে তাঁর রাজ্যপাট চালাতেন। এখন সেখানে থাকেন উদ্ধব।
শুক্রবার মাতোশ্রীতে বসেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বালাসাহেবের বড় ছেলে অনেকের মতে, সরকার দখলের পর এবার শিন্ডের লক্ষ্য হতে পারে দলের কাঠামো দখল।
সেসবের আগে শিবসেনা থেকেই তাঁকে সরকারি ভাবে সরিয়ে দেওয়ার কাজটি সেরে রাখলেন উদ্ধব।
মামলামোকদ্দমা হলে এই নথি তুলে ধরবেন উদ্ধব। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটক শুরু হওয়ার পর থেকেই সংঘাতের কারণ সামনে আনছিল শিন্ডে শিবির।
সুরাত থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার পর শিন্ডে খোলাখুলি বলেছিলেন, বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনা আর এই শিবসেনার মধ্যে আসমান-জমিন ফারাক।
শিন্ডে এও বলেছিলেন, কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে মাখামাখি করে সরকার চালাতে গিয়ে উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা হিন্দুত্বের সঙ্গে আপস করছে।
যা ছিল বালাসাহেবের রাজনীতির মেরুদণ্ড। পাল্টা উদ্ধব, সঞ্জয় রাউতরা বলেছিলেন, হিন্দুত্বের লাইন থেকে শিবসেনা সরে আসেনি। তা থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই।
গুয়াহাটি-মুম্বই বাকযুদ্ধের মাঝে উদ্ধব শিবির ডিজিটাল প্রচারে ছড়িয়ে দিয়েছিল রামমন্দির মীমাংসা আদালতে হওয়ার আগে কী ভাবে তাঁরা মুম্বই থেকে অযোধ্যায় গিয়ে সরযূ নদীর তীরে আরতি করেছিলেন। সেসবে চিঁড়ে ভেজেনি।
উদ্ধবকে গদিচ্যুত হতেই হয়েছে। এবার দল যাতে মতোশ্রীর হাতছাড়া না হয় তার জন্য পদক্ষেপ শুরু করে দিলেন উদ্ধব।