• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

উদ্ধবের পিঠে বাঘনখের ক্ষত? সঞ্জয়ের ট্যুইট করা ছবি ঘিরে সামনে এল মহারাষ্ট্রের ইতিহাস

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে তিক্ততা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত।

SHIV SENA MP Sanjay Raut reached the ED office here for an alleged money laundering case probe.

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছিলেন শিবসেনার অন্যতম শীর্ষনেতা সঞ্জয় রাউতকে।

এত বেশি গুরুত্ব সঞ্জয় রাউতের প্রাপ্য ছিল না এই সঞ্জয় রাউতের জন্যই বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।

বিজেপিকে ছেড়ে এনসিপি এবং কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধবের সরকার গঠন ভালোভাবে নেননি একনাথ শিন্ডের অনুগামীরা।

উদ্ধবের ইস্তফার পর একাধিক শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক জানিয়েছেন ‘আমাদের লড়াই ছিল এনসিপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

কিন্তু সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা নিজেদের নেতার বিরুদ্ধে লড়াই করে ফেললাম।

উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগ আমাদের কাছে আনন্দের বিষয় নয়। সঞ্জয় রাউতের জন্যই বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক খারাপ হয়।

কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে তিক্ততা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত।

সেই কারণেই তাঁরা বিদ্রোহী হয়েছেন বলে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশ জানিয়েছেন। রাউতের প্রতি ক্ষোভই তাঁদেরকে ঠেলে দিয়েছে বিদ্রোহের দিকে।

যদিও এধরনের যুক্তি মানতে রাজি নন সঞ্জয় রাউত। তিনি পাল্টা ছবি এঁকে বলছেন, ‘আসলে উদ্ধব ঠাকরেকে পিছন থকে ছুরি মারা হয়েছে।

শিবসেনা ফিরে আসবে। সবার জানা উচিত ক্ষমতার জন্য শিবসেনা তৈরি হয়নি। শিবসেনার জন্য ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সঞ্জয় রাউত একটি ছবির ট্যুইট করেন। সেই সঙ্গে ট্যুইট করা ছবিতে মারাঠী ভাষায় তিন শব্দের একটি মন্তব্য করেন, যা নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

এই ছবির সদ্য প্রাক্তন হওয়া মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মিল রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পিছন থেকে হামলা করা হচ্ছে তাঁর উপর।

সাদা কুর্তা-পাঞ্জাবি পরা একটি শরীরের পিছনের অংশ। পিঠের উপর তিনটি গভীর ক্ষতচিহ্ন। এটাই দেখানো হয়েছে ছবিতে। আঘাতের চিহ্ন বলছে, পিছন থেকে হামলার শিকার হয়েছেন তিনি।

মনে করা হচ্ছে ‘সম্ভাব্য হামলাকারী’ হিসেবে বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন সঞ্জয়। আর এই ছবি আচমকাই সামনে এনে দিচ্ছে মারাঠা ইতিহাসকে।

ছত্রপতি শিবাজি বাখনখের মাধ্যমে বিজাপুরের সেনাপতি আফজাল খাঁকে হত্যা করেছিলেন। আসলে এই ছবির মাধ্যমে সঞ্জয় রাউত বোঝাতে চেয়েছেন বিশ্বাঘাতকতার কথা।

তারপরেই সঞ্জয় মন্তব্য করেছেন, নিজেদের লোকেরাই পিঠে ছুরি মেরেছে। ক্ষমতার জন্য শিবসেনার জন্ম হয়নি। শিবসেনার জন্য ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

এনসিপি’র প্রধান শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সঞ্জয় রাউত।