হংকং-এর পর এবার ভারত। করোনার রিইনফেকশন নিয়ে চিন্তা বাড়লো স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। প্রথমবার ভাইরাসের সংক্রমণ সারিয়ে ওঠার পরেও দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলেন তেলেঙ্গানার দুই স্বাস্থ্যকর্মী।
তেলেঙ্গানা স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা ডক্টর জি শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, প্রথমবার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বার সংক্রামিত হয়েছেন ওই দুই স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এবারের ভাইরাস স্ট্রেন আগের থেকে আলাদা।
অর্থাৎ প্রথমবার সার্স কভ ২ ভাইরাসের যে স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল তাঁদের শরীরের, এবারে সেই ভাইরাসের জিনের গঠন আগের থেকে আলাদা। ড. শ্রীনিবাস বলেছেন, চিন্তার আরও কারণ রয়েছে। দ্বিতীয়বার সংক্রামিত হওয়ার পরে তাঁদের শরীরে কোনও বাহ্যিক লক্ষ্মণ দেখা যায়নি। অর্থাৎ তারা অ্যাসিটোমেটিক। অথচ প্রথমবার আক্রান্ত হওয়ার সময় তাদের শরীরে উপসর্গ দেখা গিয়েছিল।
দ্বিতীয়ত প্রথমবার উপসর্গ সম্পূর্ণভাবে সেরে ওঠার পরে মাত্র দেড় মাসের মাথায় দ্বিতীয়বার সংত্রমণ হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে রোগ সারলেও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভাইরা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি এতটাই কম তৈরি হচ্ছে। যে তাদের স্থায়িত্ব তিন মাসেরও কম। শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যাওয়ার ফলেই দ্বিতীয়বারও ভাইরাস ঢুকতে পারছে শরীরে।
করোনার রিইনফেকশন কী? একবার ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি পুনরায় সার্স কভ ২ দ্বারা আক্রান্ত হন তাহলে তাকে বলে রিইনফেকশন । অর্থাৎ একই ভাইরাস বারবার সংক্রমণ ঘটাচ্ছে শরীরে।
সম্প্রতি হংকং-এ ৩৩ বছরের এক যুবকের শরীরে করোনার রিইনফেকশন দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ভাইরোলজিস্টরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুরুতে দেখা যাচ্ছিল সংক্রমণ সারিয়ে ওঠার পর ফের কোভিড টেস্ট করালে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। এর অনেক কারণ হতে পারে। হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির রোগ পুরোপুরি সারেনি। নয়তো ভাইরাস স্ট্রেন সুপ্তভাবে শরীরে থেকে গিয়েছে। তবে এটা রিইনফেকশন নয়।