পঞ্জাবের মোহালিতে বহুতল ভেঙে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন বলে খবর। শনিবার সন্ধ্যায় মোহালির সোহানা এলাকায় চারতলা বাড়িটি আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দৃষ্টি বর্মা। তিনি হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। রবিবার সকাল যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, ধ্বংসস্তূপের নীচে ১০-১৫ জন আটকে রয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে সকলকে যে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নয়, তা এক প্রকার অনুমান করা যাচ্ছে। উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সময় যত গড়াচ্ছে আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
বহুতলের মালিক পারবিন্দর সিংহ এবং গগনদীপ সিংহের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারী জানিয়েছেন, বহুতলের ভিতর নির্মাণকাজ চলছিল। সেই কারণে খোড়াখুড়ির কাজ হচ্ছিল। সম্ভবত তার জেরেই বহুতলটি এভাবে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। অবশ্য বহুতলটি ভেঙে পড়ার আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাও। ঘটনাস্থলে রয়েছে চিকিৎসক দল, অ্যাম্বুল্যান্স। কংক্রিটের বড় বড় চাঙর সরানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ভারী যন্ত্রপাতিও। স্থানীয়দের দাবি, এই বহুতলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি জিম রয়েছে। অনেকেই শরীরচর্চা করছিলেন সেখানে। প্রথম তলায় বাচ্চাদের টিউশন চলছিল। তৃতীয় তলায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন বেশ কয়েকজন যুবতী। দুর্ঘটনার জেরে তাঁরা সকলেই চাপা পড়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তিনি বলেন, সোহানা এলাকায় একটি বহুতল ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রার্থনা করছি যাতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। এই দুর্ঘটনার পিছনে যারা যারা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।