১৫ সেপ্টেম্বর উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পদযাত্রা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই মিছিলের অনুমতি দিল না ত্রিপুরা পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানাে হয়েছে, এ রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী মিছিলের ৭২ ঘণ্টা আগে লিখিত অনুমতি চাইতে হয়।
জানাতে হয়, মিছিলের বিস্তারিত তথ্য। কারা থাকবেন মিছিলে, কোন পথে হবে মিছিল, তা লিখিতভাবে পুলিশকে জানাতে হয়। কিন্তু তৃণমূলের তরফে লিখিতভাবে সেই অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে দাবি পুলিশের। তাঁদের দাবি, ওই একই দিনে একই সময়ে একই রুটের অন্য একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসুচি রয়েছে। তাঁরা আগেই লিখিতভাবে অনুমতি চেয়েছিল।
তাই তৃণমূলের বদলে সেই রাজনৈতিক দলটিকে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও ত্রিপুরা পুলিশের সে অভিযােগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের তরফ থেকে জানানাে হয়েছে, নিয়ম মেনেই অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা।
কুণাল ঘােষ বলেন, ত্রিপুরা সরকার আমাদের ভয় পাচ্ছে। তাই তৃণমূল তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্য এক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া শুনেছি। হাতে চিঠি পেয়েছি। আমরা কী করব, তা নিয়ে আলােচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার মাটি আরও শক্ত করতে বদ্ধ পরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপ্লব দেবের রাজ্যে যতবারই তিনি পা রেখেছেন, ততবারই ধেয়ে এসেছে শত্রুপক্ষ।
হামলার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর তাতেই যেন জেদ আরও বেড়েছে তার। দুষ্কৃতী হামলা, প্রতিরােধের তােয়াক্কা না করে নতুন নতুন ছক সাজিয়ে বারবার তিনি ত্রিপুরা সফরে গিয়েছেন, যাচ্ছেনও।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানী আগরতলায় ঐতিহাসিক পদযাত্রার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু পুলিশি অনুমতি না দেওয়ায় সেই মিছিল। ভেস্তে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।