৪৭ ছাত্র-ছাত্রী মৃতু্য-এইচআইভি প্রসঙ্গে অবশেষে স্পষ্টতা জারি ত্রিপুরা সরকারের

আগরতলা, ১০ জুলাই– মঙ্গলবার ত্রিপুরাা ৮২৮ জন শিক্ষার্থীর সম্পর্কে উদ্বেগজনক খবর প্রকাশ করেছিল এএনআই৷ এএনআই বলেছিল, ৮২৮ জন শিক্ষার্থী সংক্রমিত এবং ৪৭ জনের মৃতু্য হয়েছে এইচআইভি-তে৷ ত্রিপুরার ২২০টি স্কুল এবং ২৪টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জুডে় সংকট ছডি়য়ে পডে়ছে বলে দাবি করা হয়েছিল৷ ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবন করার ফলেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এইচআইভি ছডি়য়েছে বলে জানানো হয়েছিল৷ সেই প্রসঙ্গেই বুধবার স্পষ্টতা জারি করল ত্রিপুরা সরকার৷ তারা জানিয়েছে, এই খবর বিভ্রান্তিকর৷
ত্রিপুরা সরকার বলেছে, রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণ মহামারির আকার ধারণ করেনি৷ এই পরিসংখ্যানগুলি আসলে গত ১৭ বছরের সম্মিলিত হিসেব৷ ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে যাত্রা শুরু করেছিল ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি বা টিএসএসিএস৷ ২০০৭-এর এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের পরিসংখ্যান রাখা হয়৷ সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই সময় থেকে ২০২৪-এর মে মাস পর্যন্ত, রাজ্যে ৮২৮ জন শিক্ষার্থী এইচআইভি পজিটিভ বলে সনাক্ত হয়েছে৷ এর মধ্যে ৫৭২ জন শিক্ষার্থী এখনও বেঁচে আছে এবং ৪৭ জনের মৃতু্য হয়েছে৷ সরকার আরও দাবি করেছে, অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার জন্য ত্রিপুরার বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাডি় দিয়েছে৷
সম্প্রতি, ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়ন, ওয়েব মিডিয়া ফোরাম এবং টিএসএসিএস-এর যৌথ উদ্যোগে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে টিএসএসিএস-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর, পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে ওই পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন৷ তাঁরা জানিয়েছিলেন,রাজ্যের মোট ১৬৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতাল থেকে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ সমস্ত ব্লক এবং মহকুমা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এইচআইভি আক্রান্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ধনী পরিবারের বলে জানয়েছিলেন তাঁরা৷
টিএসএসিএস-এর কর্তারা আরও জানিয়েছিলেন, ২০২৪০এর মে মাস পর্যন্ত, ত্রিপুরার অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি কেন্দ্রগুলি ৮,৭২৯ জন এইচআইভি আক্রান্তকে নিবন্ধিত করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে, জীবিত আছেন ৫,৬৭৪ জন৷ এর মধ্যে ৪,৫৭০ জন পুরুষ, ১,১০৩ জন মহিলা এবং একজন ট্রান্সজেন্ডার আছেন৷