তৃণমূলের টার্গেট ৪৯ শতাংশ মহিলা ভােট। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। প্রতি বিধানসভার জন্য হােয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খােলা হয়েছে। সংগঠনের মহিলা সদস্যদের টার্গেট দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ১০০০ করে বাড়িতে যাবেন। ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনে এভাবেই মহিলারা তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবে।
দুর্গাপুজোর সময়ও চলবে বিশেষ প্রচার। পাড়ায় পাড়ায় চলবে মহিষাসুরমর্দিনী গীতিআলেখ্য বাজাতে সেই সঙ্গে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতাে যে প্রকল্প গুলি চালু করেছেন, সেগুলিকে সামনে রেখে প্রচার হবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভােটে তৃণমূলের ভালাে ফলের নেপথ্যে মহিলা ভােটারদের অবদান অনস্বীকার্য। সে কারণে মহিলাদের মধ্যে তৃণমূলের প্রতি যাতে আস্থা বাড়ে বিশেষ ভাবে এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় তৃণমূলস্তরে নিজেদের মাটি শক্ত করতে চাইছে মমতার কোম্পানি।
বাংলার ভােটে ৪৯ শতাংশ মহিলা ভােটের সিংহভাগ অংশ মমতার দিকে। তারাই উজাড় করে ভােট দিয়েছে তৃণমূলকে। ত্রিপুরাকে ঘিরেও এই একই ধরনের রণকৌশল করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। ইতিমধ্যে তৃণমূল সাংসদরা ত্রিপুরায় যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে।
তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘােষ দস্তিদার, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, সাংসদ মহুয়া মৈত্র ত্রিপুরায় গিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। মূলত মহিলা ভােটারদের কথা মাথায় রেখে। সেই সঙ্গে জনপ্রতিনিধি করার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মহিলাদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তাও বিশেষভাবে তুলে ধরা হচ্ছে ত্রিপুরা বৈঠকগুলিতে।
আগরতলার হােটেলে একটি বিশেষ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মহিলা সংগঠনের উপর জোর দেওয়া। পরিবারপিছু সংগঠন বিত্তার ক্ষেত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পরিবারের মহিলাদের সমস্যা সমাধানে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে জনসমর্থন বাড়ানাের জন্য ত্রিপুরায় ক্রমশ মরিয়া হচ্ছে তৃণমূল।