ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলার প্রতিবাদে সােমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় শামিল হলেন তৃণমূল সাংসদরা। শনি ও রবিবার দফায় দফায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখান দলের সাংসদরা।
নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের সংসদীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারাের হাতে প্ল্যাকার্ড, ত্রিপুরায় স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক। কোনও প্ল্যাকার্ডে আবার লেখা, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাতে হবে। বাংলা, ইংরাজি দুই ভাষাতেই তৃণমূল সাংসদদের হাতে পােস্টার। সঙ্গে স্লোগান।
সােমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ সংসদের বাইরে এভাবেই প্রতিবাদে মুখর হতে দেখা গেল সৌগত রায়, শান্তনু সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায় দের। দলের নির্দেশে সব সাংসদই এই কর্মসূচিতে এদিন যােগ দেন।
এবার অধিবেশন কক্ষেও এ নিয়ে তাঁরা কীভাবে সরব হলে, তা এখনও আলােচনাধীন। তবে ত্রিপুরা ইস্যু যে তৃণমূলের হাতে বিরােধিতার আরেক অস্ত্র তুলে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। শনিবার ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যােগ দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন এ রাজ্য থেকে যাওয়া তৃণমূলের ছাত্র ও যুবনেতারা।
সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যর গাড়িতে পাথর ছোঁড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। আহত হন সুদীপ, জয়া। এর প্রতিবাদে থানার সামনে ধরুনায় বসার পর রাতে তাঁদেরই গ্রেপ্তার করে পুলিশ । রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ত্রিপুরায় গিয়ে তাঁদের জামিন করিয়ে নিজের সঙ্গে কলকাতায় ফিরিয়ে আনেন।
সােমবার এসএসকেএম হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই হামলার নেপথ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করেছেন। তাঁর নির্দেশেই হামলা হয়েছে বলে অভিযােগ তােলেন। ফলে দিল্লির দরবারে এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদদের সরব হওয়া অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।