কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবিঃএসএনএস)

এদিন কর্মীসভা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন সব জায়গায়তেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানালেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী বলেন, কেউ কেউ বলছে, আমরা কেন লড়ছি। কেন কংগ্রেসকে ছাড়ছি না ওরা তো ৬০-৭০ বছর ধরে লড়ছে। গত বার কী করেছিল?

একক বৃহত্তম দল হয়েও কংগ্রেস সরকার গড়তে পারেনি বরং বিজেপিকে সরকার গড়তে দিয়েছে। কী করে ওদের বিশ্বাস করব। আমি একটা কথা বলতে পারি, আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন, এই লড়াইয়ে কোনও আপস করব না। গোয়া বিধানসভা ত্রিপুরার থেকেও ছোট। এই রাজ্যে মোট বিধানসভা আসন ৪০ টি।

গত বার কোনও দলই ম্যাজিক ফিফার ছুঁতে পারেনি। কংগ্রেস একা পেয়েছিল ১৭ টি। বিজেপির ঝুলিতে ছিল ১৩ টি আসন। বাকি দশটির মধ্যে তিনটি গোমন্তক পার্টি, তিনটি গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, তিনটি নির্দল এবং একটি এনসিপি জিতেছিল।


পরে নির্দলের মধ্যে থেকে একজন বিধায়ক যোগ দেন আম আদমি পার্টিতে। বিধায়ক সংখ্যা কম হলেও বিজেপি যে একে তাকে জুটিয়ে সরকার গড়ে তা নতুন নয়। গোয়ার পাশাপাশি মণিপুরেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল।

সাংবাদিক সম্মেলনেও দিদিকে প্রশ্ন করা হয়, অনেকে বলছেন তৃণমূলের গোয়ায় অনুপ্রবেশ আসলে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করার ছক। এ ব্যাপারে মমতা বলেন, কই অন্য দলকে তো এসব প্রশ্ন করেন না। অনেক দল তো গোয়ায় লড়েছে। তৃণমূল তো এবার এল। এত গাত্রদাহ কেন হচ্ছে।

তিনি বোঝাতে চান, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তৃণমূলের যে ধারাবাহিকতা তা কংগ্রেসের নেইপর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের এখন লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় স্তরে সংখ্যার নিরিখে কংগ্রেসকে টপকে গিয়ে নেতৃত্বের ব্যাটন দিদির হাতে রাখা।

ফিরহাদ হাকিম দু’দিন আগেই বলেছেন, সিপিআই ভেঙে যদি সিপিএম তৈরি হতে পারে তারপর সেই সিপিএমের নেতৃতাধীন বামফ্রন্টের ছাতার তলায় যদি সিপিআই থাকতে পারে তাহলে তৃণমূলের নেতৃত্ব কংগ্রেসের মেনে নিতে আপত্তি কোথায়?

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপির সঙ্গে কে আঁতাত করছে সাধারণ মানুষ জানেন। সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে এখন ভোট ভাগাভাগি করতে গোয়ায় গিয়েছেন।