গত সপ্তাহেই গেজেট বিজ্ঞপ্তি পকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা , অসম এবং পাঞ্জাবে বিএসএফের এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেও বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আলোচ্যসূচিতে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিষয়টিও যুক্ত করার আবেদন জানান তিনি।
সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। তিনিও তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ফলে এবার সংসদেও এ ব্যাপারে আলোচনা তুলবে তৃণমূল। স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিন রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে বিএসএফের কাজের এলাকা বাড়ালেও সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিষয়টি সংসদের দু’টি কক্ষে পেশ করতে হবে সরকারকে। তখন বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল ছাড়াও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, সিপিএম। তাদের বক্তব্য, বিএসএফ’কে দিয়ে এলাকা দখলের খেলা শুরু করেছে মোদি সরকার।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার মধ্যে মোট ১০ টি জেলা এর ফলে বিএসএফের প্রভাবিত হবে। রাজ্যের মোট ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে প্রভাবিত হবে ২১ টি আসন।
এর গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করেন তৃণমূল। যদিও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত একেবারেই সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়। তৃণমূল অযথা মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।”