পাকিস্তানকে বিশ্বস্তরে কোণঠাসা করার ডাক দিলেন সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত । বৃহস্পতিবার রাইসিনা বার্তালাপ ২০২০ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ।
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না এখনই। এটি চলতে থাকবে। আমাদের এর মধ্যেই বাঁচতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে সন্ত্রাসবাদের মূল জড় কোথায় লুকিয়ে। সেটিকে খুঁজে শেষ করতে পারলেই এই যুদ্ধ শেষ হবে’।
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে সন্ত্রাসবাদ শেষ করতেই হবে। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন আমেরিকার মতাে আমরাও বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করব। ৯/১১-এর ঘটনার পর আমেরিকা যেভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করেছিল, আমাদেরও তাই করতে হবে। এটা করতে গেলে আমাদের জঙ্গিদের মদত দেওয়া সকলকে একঘরে করে দিতে হবে’।
এরপর পাকিস্তানকে তােপ দেগে জেনারেল রাওয়াত বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ ততদিন থাকবে যতদিন এটাকে মদতদানকারী দেশদের আমরা একঘরে করব না। কিছু দেশ আছে, তারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে। এবং জঙ্গিদের ব্যবহার করে ছলনার যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে। তারা জঙ্গিদের অস্ত্র, অর্থ, সবই দিচ্ছে। এরকম হলে তাে আর সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না’।
পাকিস্তানকে কোণঠাসার বার্তা দিয়ে সিডিএস বলেন, ‘যদি কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয় তবে আমার মনে হয় তাদের বিরুদ্ধে এ কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এইই পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্যে অন্যতম হতে পারে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা। পাশাপাশি কুটনৈতিক স্তরেও সেই দেশকে একঘরে করা উচিত।
এদিকে এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের ও কমনওয়েলথভুক্ত দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গ্যারেথ বেইলে। তিনিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখ খােলেন। তিনি বলেন, এটি পুরাে স্পষ্ট যে জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনাগুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তর থেকে হচ্ছে। এই বিষয়টি পাকিস্তানের সরকারের পক্ষে তাে বিপজ্জনক তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলির ক্ষেত্রও এটি খুবই ক্ষতিকারক।