বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সংসদে বিবৃতি বিদেশমন্ত্রীর

শুক্রবার সংসদে উঠল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। প্রতিবেশী দেশে লাগাতার সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, বাংলাদেশ নিজের স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেবে। বাংলাদেশে এই নির্যাতন নিয়ে ভারত কতটা উদ্বিগ্ন, সে কথাও ধরা পরে বিদেশমন্ত্রীর গলায়। কয়েকদিন আগেই বৈঠক করতে ঢাকা শহরে গিয়েছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি।

বৈঠক শেষে তিনি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন ইউনূস সরকারকে। এরপরেই মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্বীকার করেন , সংখ্যালঘুদের উপরে বেশকিছু হামলার অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। এর বিরুদ্ধে তাঁরা ব্যবস্থাও নিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বদলায়নি পরিস্থিতি। মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর থেকে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের কোনও বিরাম ঘটেনি।

শুক্রবার সংসদ চলাকালীন বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে প্রশ্ন করেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি জানতে চান, বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু ও মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে?


এর উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাদের ভাবাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কয়েকদিন আগে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম, বাংলাদেশ নিজের স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। কিন্তু এখনও সংখ্যালঘুদের উপর একাধিক হামলার ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে।’

অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো বাংলাদেশেও একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত ভারত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত আশা করছে দুদেশের সম্পর্ক অটুট থাকবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও চিন প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তান প্রসঙ্গে বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের জন্য প্রতিবেশী দেশকে দেখাতে হবে যে তারা সন্ত্রাসবাদমুক্ত।’

বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির ঢাকা সফরের পর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তাঁরা। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। এই বিষয়ে জয়শংকর বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশের উপর কড়া নজর রাখবে দিল্লি।