• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

কানোয়ার যাত্রায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ওভারহেড তারের সংস্পর্শে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের

পাটনা, ৫ আগস্ট –  কানোয়ার যাত্রায় সামিল হয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হলেন পুণ্যার্থীরা। কানোয়ার যাত্রীদের গাড়ি ওভারহেডের তার ছুঁয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আরও বেশ কয়েকজন এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। রবিবার ভোররাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলার হাজিপুর এলাকার সুলতানপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, সোনপুরে বাবা হরিহরনাথ মন্দির থেকে জলাভিষেক করে ফিরছিলেন কানোয়ার যাত্রীরা।

পাটনা, ৫ আগস্ট –  কানোয়ার যাত্রায় সামিল হয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হলেন পুণ্যার্থীরা। কানোয়ার যাত্রীদের গাড়ি ওভারহেডের তার ছুঁয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আরও বেশ কয়েকজন এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। রবিবার ভোররাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলার হাজিপুর এলাকার সুলতানপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, সোনপুরে বাবা হরিহরনাথ মন্দির থেকে জলাভিষেক করে ফিরছিলেন কানোয়ার যাত্রীরা। খুব ধুমধামের সঙ্গে এই যাত্রা চলছিল। পথে রাস্তার ধারে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খায় পুণ্যার্থীদের গাড়ি। সেটির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় উপরে ওভার হেড তারের সংস্পর্শে আসে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত হন আরও ৬ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলকে উদ্ধার করে হাজিপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাজিপুরের এসডিপিও ওম প্রকাশ বলেন, একটি গাড়িতে ডিজে সাজিয়ে যাচ্ছিলেন ওই পুণ্যার্থীরা। গাড়িটির উচ্চতা অনেক বেশি থাকায় বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে গাড়িটি আসলে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের। বাকিরা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের সকলে পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি। এই তীর্থযাত্রীদের সকলেই জেঠুই গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে ফোন করা হয়েছিল। তার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। যদি তা করা হত তাহলে বেশ কয়েকজনকে বাঁচানো যেত।
 

উল্লেখ্য, এই কানোয়ার যাত্রাকে মাথায় রেখে পুণ্যার্থীদের স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির তরফে। যাত্রা পথের দুপাশে খাবার ও মাংসের দোকান নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে। খাবারের দোকানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় দোকানের বাইরে দোকান মালিকের নাম ও পরিচয় স্পষ্টভাবে লিখতে হবে, যা নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নেয়। বিষয়টি গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্ত । এর পর দুই রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।