করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফের দেশে আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে তিন জনের মৃত্যু হল। কস্তুরবা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দুবাই থেকে তিনি মহারাষ্ট্রে ফিরেছিলেন। দেশের সবথেকে বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রামিতের খবর পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্রে। কর্ণাটকে এক ব্যক্তি ও দিল্লিতে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
ত্রিবান্দমে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরন নিজের সরকারি বাসভবনে সেলফ কোয়ারান্টাইনে রয়েছে। তিনি রাজধানীতে ফিরে নিজের বাসভবনে সেলফ-কোয়ান্টাইনে থাকছেন যদিও। তার শরীরে করোনাভাইরাসের প্রীক্ষায় নেগেটিভ ফল পাওয়া গেছে। কর্ণাটক ও নয়ডাতে আরও দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬।
কেন্দ্রের তরফে নতুন করে পর্যটনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আফগানিস্তান, ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়া থেকে কোনও যাত্রীর দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপে মৃতের সংখ্যা ৭০০০ দাড়িয়েছে। সংক্রমণ রুখতে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনের তরফে ১০ জনেক বেশি জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মার্কিন গবেষকরা পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক করোনা আক্রান্ত প্রথম কোনও ব্যক্তির শরীরে দেওয়া হয়েছে।
ডাক্তার হর্ষ বর্ধন বলেন, চিকিৎসক, প্যারামেডিকেল স্টাফ, পাইলট, বিমানকর্মী, যারা সাহসিকতার সঙ্গে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে এনেছেন, সংক্রমণের ভয়কে উপেক্ষা করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের চিকিৎসা করছে, সংস্পর্শে আসছে– তাদের প্রশংসা করার জন্য কোনও পর্যাপ্ত শব্দ নেই। আমি দেশের সমস্ত মানুষের হয়ে চিকিৎসক ও প্যারা মেডিকেল কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।