সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি রক্ষা করতে এবার নতুন দুটি কাজ করা যাবে না হিন্দুদের। তারা কেক কাটতে পারবে না এবং মােমবাতি জ্বালাতে পারবে না। তাহলে সনাতন ধর্মের অবমাননা করা যাবে। ফের এক নতুন বিতর্কিত মন্তব্যে শিরােনামে উঠে এলেন নরেন্দ্র মােদির মন্ত্রিসভার মন্ত্রী তথা বেগুসরাইয়ের সাংসদ গিরিরাজ সিং।
রবিবার তিনি দিল্লিতে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মা কালীর নামে আমাদের শপথ করুন, সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য রক্ষা করতে নিজেদের বাচ্চাদের আপনারা রামায়ণ পাঠ করাবেন বা হনুমান চল্লিসা পাঠ করাবেন। এরপরই তিনি অনুরােধ করেন হিন্দুরা যেন কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন না করে। গিরিরাজের কথায়, ‘সনাতন ধর্ম বাঁচাতে আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। যাঁরা জন্মদিন পালন করে তাঁরা শপথ নিন যে মােমবাতি জ্বালাবেন না, কেকও কাটবেন না। এর বদলে গিয়ে মন্দিরে মহাদেব শিব বা মা কালীর পুজা করুন। আর জন্মদিনে মাটির প্রদীপ জ্বালান’।
মূলত ইংরেজি স্কুলে পঠনপাঠনের কারণেই ভারতীয়দের এই ‘অপসংস্কৃতি’ ধরেছ বলে মনে করছেন গিরিরাজ। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ধর্মে মানুষ রবিবার চার্চে যায়, শুক্রবার প্রার্থনা করে। তাদের বাচ্চারা সেই শিক্ষাটাই নেয়। কিন্তু আমাদের বাচ্চারা ওই মিশনারী স্কুলে যিশু খ্রিস্টের মূর্তি দেখে এসে ঘরে বলে, তারা মাথায় তিলক লাগাবে না বা মাথায় টিকি রাখবে না। আমাদের সনাতন ধর্ম তাহলে কীভাবে বেঁচে থাকবে? প্রশ্ন তুলেছেন গিরিরাজ।