পালংয়ের অক্সালেট -এ কিডনির পাথর, জানেন কি ?

ভিটামিন এ, সি থেকে শুরু করে নানা ধরনের খনিজ থাকে এই পালং শাকে। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এই শাক। স্বাদে এমনকি পুষ্টিতেও অনন্য পালং শাক। যেহেতু এই শাক শীতেই পাওয়া যায়, তাই অনেকে অতিরিক্ত খেয়ে থাকেন।

দেখা যায়, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই শাকের বিভিন্ন পদ পাতে রাখেন। তবে অতিরিক্ত পালং শাক খাওয়া কারো কারো জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। শাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে। যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। এই শাকে থাকা ভিটামিন ‘কে’ রক্ত পাতলাকারী ওষুধের ক্ষেত্রে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়-

পালং শাকে থাকে অক্সালেট, যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে কডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। প্রস্রাবে অক্সালেটের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে এই পাথরগুলো তৈরি হয়। কিডনিতে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর। ১০০ গ্রাম পালং শাকে ৯৭০ মিলিগ্রাম অক্সালেট থাকে। ফুটন্ত পালং শাকে অক্সালেটের ঘনত্ব কিছুটা কমতে পারে। তাই অতিরিক্ত পালং শাকও খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে আপনার যদি কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তবেই পালং শাক খান।


ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করে-

পালং শাকে থাকে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ‘কে’। যা রক্ত পাতলাকারী ওষুধের কার্যকারিতা কমায়। স্ট্রোক প্রতিরোধে রক্ত পাতলাকারী ওষুধ দেওয়া হয়। তাই এমন রোগীদের ক্ষেত্রে পালং শাক খাওয়া কমাতে হবে। আধা কাপ রান্না করা পালং শাকে ৪৪৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘কে’ থাকে। এক কাপ কাঁচা পালং শাকে ১৪৫ মিলিগ্রাম পুষ্টি থাকে। রান্না করা পালং শাকে ভিটামিন কে এর মাত্রা বেশি থাকে কারণ তাপ পুষ্টির শোষণ বাড়ায়।

খনিজ শোষণে বাঁধা দেয়-

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সালেট-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ খনিজ শোষণকে বাঁধা দিতে পারে। অক্সালেট একটি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট। পালং শাকের অক্সালেট ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। এতে অক্সালেট ও ক্যালসিয়াম উভয়ই থাকে। ফলে প্রচুর পরিমাণে পালং শাক খেলে ক্যালসিয়াম শোষণকে ব্যাহত করতে পারে। পালং শাকের অক্সালেটগুলো আয়রনের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটাতে পারে ও স্ফটিক গঠন করে এর শোষণকে বাধা দেয়।