• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

মোদি-শাহের চোরা স্রোতেই শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন! অভিযোগ তুলে সেবির দ্বারস্থ তৃণমূল

দিল্লি, ১১ জুন– লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে শুধু রাজনীতি নয় উত্তাল হতে দেখা গিয়েছে ব্যবসা জগতকেও৷ আকাশ-পাতাল উত্থান-পত্তনের মধ্যে ওঠা-নামা করেছে শেয়ার বাজার৷ তার পেছনে কাজ করেছে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে সংবাদমাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের শেয়ার বাজার নিয়ে মন্তব্য৷ তারপর এক্সিট পোলের ভবিষ্যতবাণী৷ আর এতেই ভোটের ফল ঘোষণার আগে যেমন শেয়ার বাজারকে আকাশ

দিল্লি, ১১ জুন– লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে শুধু রাজনীতি নয় উত্তাল হতে দেখা গিয়েছে ব্যবসা জগতকেও৷ আকাশ-পাতাল উত্থান-পত্তনের মধ্যে ওঠা-নামা করেছে শেয়ার বাজার৷ তার পেছনে কাজ করেছে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে সংবাদমাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের শেয়ার বাজার নিয়ে মন্তব্য৷ তারপর এক্সিট পোলের ভবিষ্যতবাণী৷ আর এতেই ভোটের ফল ঘোষণার আগে যেমন শেয়ার বাজারকে আকাশ ছুঁতে দেখা গিয়েছ৷ আবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই সেই বাজারকেই ধুলিস্যাৎ হতে দেখা গিয়েছে৷ রাজনীতিমহলে বাজারের এই ওঠানামার জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, প্রায় অধিকাংশ এক্সিট পোল দেখিয়েছিল এবারের লোকসভা ভোটে বড় জয় পেতে চলেছে বিজেপি৷ এরপরই শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে৷ কিন্ত্ত ফলাফলের দিন দেখা যায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি৷ ফলে বিপর্যয়ের মতো ধসে পডে় শেয়ার বাজার৷ গত ২ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন ধস নামে দালাল স্ট্রিটে৷ সেনসেক্স ৩৭০০ পয়েন্ট এবং নিফটি ২২,১৪০ পয়েন্ট নেমে যায়৷
একদিকে রাহুল গান্ধি অন্যদিকে বাংলার তৃণমূল সরকার দুজনকেই বাজারের এই ফেরবদলের জন্য মোদি-শাহকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছে৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে শোনা গেছিল, ৪ জুন শেয়ার বাজারে বড় স্রোত আসবে! সেই ভবিষ্যতবাণী শোনার পর বহু মানুষ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন৷ কিন্ত্ত ফলপ্রকাশের পর দেখা গেছিল সম্পূর্ণ উল্টো ছবি৷ এই পরিস্থিতি তৈরি হতেই বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে, মোদি-শাহ বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন৷ এই ইসু্যতে এবার সেবি তদন্তের দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে চিঠি দিয়েছেন৷
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট চলাকালীন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন৷ সেখানেই অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে নেবেন, ওটা শুট আপ করবে’৷ আবার মোদিও তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের পর শেয়ার বাজারে এমন তেজ আসবে যে তাদের সমস্ত প্রোগ্রামিং ফেল করে যাবে৷’ ভোটের ফলপ্রকাশের পর বাজার ধরাশায়ী হতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি দাবি করেছিলেন, ৫ কোটি ঘরোয়া বিনিয়োগকারীদের উস্কে দেওয়া হয়েছে এমন মন্তব্য করে৷ কমপক্ষে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির হয়েছে৷
তৃণমূল সাংসদ সেবির দ্বারস্থ হয়ে মূলত একই অভিযোগ করেছেন৷ তাঁর স্পষ্ট কথা, বিজেপির বিরাট জয় নিশ্চিত দাবি করে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে উস্কানি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ৷ ৩ এবং ৪ জুন শেয়ার মার্কেটে এই কারণে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়৷ মোদি-শাহর মন্তব্যের কারণে শেয়ার বাজারে কোনও কারচুপি করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার৷ সাকেতের সন্দেহ, শেয়ার বাজারের সূচককে কারসাজি করে তোলা হয়েছিল৷
তৃণমূলের অভিযোগ, শেয়ার বাজারের এই টানাপডে়নের ফলে সরাসরি লাভবান হয়ে থাকতে পারেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ৷ আর তেমনটা না হলেও বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনও সংস্থা মুনাফা লাভ করতে পারে৷ এই বিষয়েরই তদন্ত চাইছে বাংলার শাসক দল৷