বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট তৃণমূলের

দিল্লি, ২ আগস্ট–  ফের সংসদ থেকে ওয়াকআউট  তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদের। শুক্রবার  জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপরে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে লোকসভায় সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর তারা ওয়াকআউট করে লোকসভা থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এ বিষয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে, তৃণমূলের এই দাবিকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “নিজের চরকায় তেল দিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জিএসটি নিয়ে সরকার ভাবছে, অবশ্যই কিছু করবে। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলি যে লুঠছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই।”
তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করীই প্রথম দাবি জানিয়েছিলেন জীবনবিমা, স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে এই মর্মে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এরপরই একই দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “ভারত সরকারের কাছে আমাদের দাবি, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা। সরকার জনবিরোধী জিএসটি প্রত্যাহার না করলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হব।”
এ দিন একই দাবি জানিয়ে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, জুন মালিয়া প্রমুখ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জীবন বিমা ও ওষুধের উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি দেশের কাছে তুলে ধরেছেন। আমরা দাবি জানিয়েছি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে সংসদে আসতে হবে। আজ দু’বার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ওয়েলে নামতে হয়েছে। আমাদের দাবি স্পষ্ট, জীবনবিমার প্রিমিয়াম ও ওষুধের উপরে জিএসটি প্রত্যাহার নিয়ে আশ্বাস দিতে হবে এবং দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।”