দিল্লি, ১১ নভেম্বর – পশ্চিমবঙ্গে ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল তৃণমূল। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে দুটি স্মারকলিপি জমা দেন । সেখানে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে প্রচারের সময় উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে আলোচনার পরও সময় চেয়েছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাকেত গোখলে, এবং সাংসদ কীর্তি আজাদ । তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে সময় দেওয়া হয়েছে সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টেয়। আর সেখানেই আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ এনে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠান তাঁরা। সোমবার বিকেল ৫টায় প্রচার শেষ। সাড়ে ৩টেয় আলোচনার পর কীভাবে বিজেপি নেতাদের প্রচারকে নিয়ন্ত্রণ করবে কমিশন সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। নির্বাচন কমিশনের এই আচরণ বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করল তৃণমূল
সোমবার সকালে তৃণমূলের তরফে কমিশনকে লেখা চিঠিতে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে । রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আচরণ পক্ষপাতহীন নয়। নির্বাচন কমিশনের এই আচরণ বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেবে।’
তৃণমূলের অভিযোগ পেয়েও সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলেও এ নিয়ে কমিশনের উদ্দেশে কড়া সমালোচনা করেন। কীর্তি আজাদ বলেন, ‘আমরা ইসি-র কাছে সময় চেয়েছিলাম, ২৪ ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে। নির্বাচনী প্রচার ১১ নভেম্বর বন্ধ হচ্ছে এবং ভোটগ্রহণ ১৩ তারিখে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিধি অনুসারে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের ব্যবস্থা থাকা উচিত। এখানে আমরা পাঁচজন আছি এবং আমরা সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল, তারপরও তারা আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় রাখেনি। এটি প্রমাণ করে যে কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে চলে। ‘