তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বড় দায়িত্ব পেলেন কেরলের প্রাক্তন সিপিএম নেতা পিভি আনভার। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কেরলের আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে আনভারকে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন দায়িত্ব পেয়ে খুশি আনভার। শুক্রবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগ দলে যোগ দেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আনভার। সিপিএমের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। এরই মাঝে পিনারাই বিজয়নের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। আর তাতেই শাসকদলের রোষানলে পড়েন। পিনারাই বিজয়ন সরকার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এরপর নীলাম্বুর কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ে জেতেন। ভোটে জয়লাভও করেন।
এরই মধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর এবং তাঁর রাজনৈতিক সচিব পি সাসির কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন আনভার। সেই কারণে শাসকজোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় তাঁর। ‘ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট অফ কেরল’ নামে নতুন দল গঠন করে গত নভেম্বরে চেলাক্কারার উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীও দিয়েছিলেন আনভার। কিন্তু উপনির্বাচনে জয়ী হয় সিপিএম। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে’ যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এই নির্দল বিধায়ক।
তবে আশানুরূপ সাড়া পাননি এই নির্দল বিধায়ক। তারপরেই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। বন দপ্তরের অফিসে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি পিভি আনভারকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এই গ্রেপ্তারের ফলে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিধায়ক। এরপরই কালবিলম্ব না করে তৃণমূলে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। সোমবার কেরল বিধানসভার সদস্য হিসেবে ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন আনভার। ইস্তফার পর তিনি বলেন, পিনারাই জমানার শেষ দেখতে চাই।