টাইমের লেখককে পাকিস্তানি তোপ গেরুয়া শিবিরের

বিতর্কিত লেখক আতীশ তাসির (ছবি-ট্যুইটার- @AatishTaseer)

টাইম ম্যাগাজিনের ভারতের প্রধান বিভেদকারী শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির ভাবমুর্তিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা।প্রবন্ধের লেখকের পাক যােগসূত্রের কথা টেনে শনিবার এমনই দাবি করলাে গেরুয়া শিবির।

বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন,প্রবন্ধের লেখক আতীশ তাসির একজন পাকিস্তানি।একজন পাকিস্তানির কাছ থেকে এর চেয়ে এ ভালাে আর কী আশা করা যায়।এই প্রবন্ধটি রিট্যুইট করার জন্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে কটাক্ষ করেন সম্বিত।

প্রসঙ্গত ভারতীয় সাংবাদিক তভলিন সিং এবং পাকিস্তানি রাজনীতিক তথা ব্যবসায়ী সলমন তাসিরের ছেলে আ্তিশ।টাইম পত্রিকার বিতর্কিত প্রবন্ধটি তাঁরই লেখা,যার শিরােনামে মােদিকে ভারতের প্রধান বিভেদকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।সম্বিত পাত্রের দাবি,২০১৪র ভােটের আগেও একাধিক বিদেশী পত্রিকায় মােদির বিরুদ্ধে সমালােচনামূলক প্রবন্ধ লেখা হয়েছিল।কিন্তু সে সব জনমনে কোনাে তা প্রভাব ফেলতে পারেনি।এই প্রসঙ্গে মোদিকে একতাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র।তাঁর দাবি,মােদির সংস্কারি,প্রগতিশীল ও পরিবর্তনকারী নীতির ফলেই দেশ নয়া দিশায় এগোচ্ছে।


আতীশের এই প্রবন্ধ নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হচ্ছে না।এই প্রবন্ধের জেরে সােশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সমর্থকদের তােপের মুখে পড়েছেন তিনি।শশাঙ্ক সিং নামে এক বিজেপি সমর্থক আতীশের উইকিপিডিয়া পেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ট্যুইট করেন এই আতীশ তাহলে কংগ্রেসের জনসংযােগ আধিকারিক।টাইম ম্যাগাজিন যে সমস্ত বিশ্বাসযােগ্যতা হারিয়ে বামপন্থীদের মুখপত্রে পরিণত হয়েছে,তাতে কোনাে সন্দেহ নেই।

শশাঙ্কের পােস্টে দেখা যায়,উইকিপিডিয়ার আতীশের কেরিয়ার হিসাবে কংগ্রেসের জনসংযোগ আধিকারিক পদে কাজ করার উল্লেখ রয়েছে।শশাঙ্কের এই ট্যুইট ৫০০বারেরও বেশি শেয়ার হয়।পরে দেখা যায় প্রবন্ধটি নিয়ে বিতর্কের পরে কে বা কারা এটি এডিট করে কংগ্রেসের জনসংযােগ পদে কাজ করার কথা উল্লেখ করেছেন।এরপরে তাসিরের উইকিপিডিয়া পেজটি নিয়ন্ত্রিত করে দেওয়া হয়,যাতে ইচ্ছেমতাে কেউ তথ্য বদল না করতে পারে।