ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে আশঙ্কা সত্য করে ভারত থেকে পাততাড়ি গােটাল টিকটক । সম্প্রতি এই চিনা অ্যাপটিকে পাকাপাকিভাবে ব্যান করা হয়। যার ফলে এদেশ থেকে ব্যবসা বন্ধের মত চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মালিক সংস্থা। যদিও তাদের তরফ থেকে জানান হয়েছে সকারের সঙ্গে আলােচনা জারি থাকবে।
সংবাদ সংস্থা জানাটেঠ সমস্ত কর্মীর কাছে যৌথভাবে একটি মেল পাঠিয়েছে টিকটকের অন্তবর্তী গ্লোবাল হেড ভানেসা পাপ্পাস এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রেক ক্যান্ডলি। চিঠিতে বলা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এই অনিশ্চয়তার কারণে টিমের আয়তন সংকুচিত করা হচ্ছে। এর ফলে ভারতে কর্মরত প্রত্যেক কর্মী প্রভাবিত হবেন।
জানা গিয়েছে ভারতে টিকটকের দুহাজারের বেশি কর্মীর অধিকাংশ চাকরি চলে গিয়েছে। আইনি প্রশাসনিক, মানব সম্পদ, অ্যাকাউন্টের মত কয়েকটি বিভাগে হাতে গােনা লােককে কাজে বহাল রাখা হয়েছে। এই সমস্ত কর্মীরাই ভারত সরকারের সঙ্গে আলােচনা ও সমঝােতা চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে এই চিনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপের মুখপাত্র বলেছিলেন, এক বছরের অর্ধেক সময়ের বেশি আমরা ভারতে আমাদের দু হাজারের বেশি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এবার কর্মী সংখ্যা হ্রাস করতে হবে। তবে ভারতে ফের ফিরে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গত জুনে ৫৯ টি চিনা অ্যাপকে ভারতের সার্বভৌমত্ব অখন্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হানিকারণ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে টিকটক, হেলাে, উই চ্যাট, ইউসি ব্রাউজার, ইউসি নিউজ, স্ক্যাম স্ক্যানার ইত্যাদি।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯ এ ধারা এবং ২০০৯ সালের তথ্য প্রযুক্তি বিধির সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থার আওতায় কেন্দ্র অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করে। এরই সঙ্গে কেন্দ্র কারণ দর্শানাের নােটিশও দিয়েছিল। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ওই অ্যাপগুলির কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, তাদের জবাব এবং ব্যাখ্যা অপর্যাপ্ত। এর ফলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী রূপে বলবৎ হবে। গত ২ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার আরও ১১৮ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘােষণা করেছিল।