দেশের পাঁচ রাজ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ওই পাঁচ রাজ্যে করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
ভোটের আগে পাঁচ রাজ্যেই জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি। সেই বিধি মেনেই এই সিদ্ধান্ত। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যে টিকার অ্যাপ কো-উইন থেকে শংসাপত্র ডাউনলোড করলেও তাতে মোদীর ছবি থাকবে না।
তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি ফিল্টার লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই অ্যাপে। এর আগে গত বছর এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন একই নিয়ম বলবৎ করেছিল কমিশন।
বিরোধী দলগুলি সে-সময় অভিযোগ করেছিল টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি থাকলে তা পরোক্ষে বিজেপির প্রচারে কাজে লাগছে। দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচারের কাজে লাগাচ্ছেন বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিল কংগ্রেস।
তাদের বক্তব্য ছিল টিকাকরণ মানুষের জীবন বাঁচাতে যত না কাজে লাগছে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজে দিচ্ছে মোদীর আত্মপ্রচারে। এ ব্যাপারে মোদী এবং বিজেপি সরকারকে বারবার আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও।
তবে তাতে টিকার শংসাপত্র থেকে মোদীর ছবি স্থায়ী ভাবে সরেনি। বদলে কেরল হাই কোর্টে এ নিয়ে মামলা করা হলে মামলাকারীকেই জরিমানা করে হাই কোর্ট।
মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় মামলাকারীকে। সেই সঙ্গে বিচারপতি জানিয়ে দেন দেশের টিকাকরণের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা দোষের নয়। থাকতেই পারে।