পাটনা মেট্রোর নির্মাণস্থলে দুর্ঘটনা, নিহত ৩ শ্রমিক

পাটনা মেট্রোর আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নির্মাণের সময় বড়সড় দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় মৃত্যু ৩ জনের। জখম হয়েছেন ৪ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার গভীর রাতে দুর্ঘনাটি ঘটেছে অশোক রাজপথের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি) মোড়ের কাছে।

সূত্রের খবর, টানেলের মধ্যে বিভিন উপকরণ পরিবহণের জন্য লোকো মেশিন ব্যবহার করা হয়। ওই লোক মেশিনটির ব্রেক ফেল করার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।

যান্ত্রিক এই ত্রুটির কারণে বেশ কয়েকজন শ্রমিক লোকোমোটিভ মেশিন আটকে পড়েন। ৭ জন শ্রমিক মেশিনের ধাক্কায় পড়ে যান। তাঁদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


নির্মাণের তদারকির দায়িত্বে থাকা দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। কী কারণে লোকোমোটিভ মেশিনটি ব্রেক ফলে করল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পাটনা মেট্রোর নির্মাণস্থলে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের মধ্যে একটি লোকো মেশিনে ব্রেক ফেল হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের জন্য একজন টিভিএম অপারেটর, একজন লোকো মেশিন অপারেটর এবং একজন হেল্পার।

ডিএমআরসির জনসংযোগ আধিকারিক মনিসা দুবে বলেন, জখম শ্রমিকদের পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্রেক ফেলের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। একজন সুপারভাইজার জানিয়েছেন, গভীর রাতে কাজ চলছিল। তা সত্ত্বেও সেই সময় কোনও ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন না। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শিফটে কাজ করা শ্রমিকরাও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, এত রাতে কাজ চললেও তদারকি করার জন্য কেউ ছিল না।

দুর্ঘটনার জেরে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্থরা ওড়িশার বাসিন্দা। চুক্তিবদ্ধ কর্মচারী হিসেবে তাঁরা ডিএমআরসির সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের একটি স্বপ্নের প্রকল্প এই পাটনা মেট্রো।