দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি– নির্বাচনের আগে একাধিক সমীক্ষা বলছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিই জয়ের হাসি হাসবেন৷ তবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র চারশোর বেশি আসন পাওয়ার যে দাবি প্রধানমন্ত্রী করেছেন, কোনও সমীক্ষার ফলেই তার আভাস নেই৷
বেশীরভাগ সমীক্ষা মানলে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড স্পর্শ করবেন৷ তবে মোদির আসা-যাওয়ার প্রশ্নের সঙ্গেই আরেকটি প্রশ্নও রাজনীতির অলিন্দে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে৷ ভবিষ্যতে দলে মোদির জায়গায় কাকে দেখা যাবে৷ তবে বিজেপির ক্ষেত্রে পরবর্তী মুখের সিদ্ধান্তের দায় রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের ওপর৷ তবে এবার দেশব্যাপী একটি সমীক্ষায় সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া জানা গিয়েছে৷
পাঁচ বছর অনেকটা সময়৷ এই সময়ের মধ্যে রাজনীতির অনেক অঙ্ক অলটপালট হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়৷ যেমন অসম্ভব নয় মানুষের মত বদল হওয়া৷
লোকসভা নির্বাচন নিয়ে নমুনা সমীক্ষার পাশাপাশি মুড অফ দ্য নেশন দেশবাসীর কাছে জানতে চেয়েছিল বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদির উত্তরসসূরি হিসাবে তাদের কাকে পছন্দ৷ ৩৮ হাজার মানুষের মধ্য করা সমীক্ষায় তিনজনের নাম উঠে এসেছে৷ তাঁরা হলেন, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ এবং নীতিন গডকডি়৷
এই তিন নেতার মধ্যে সবেচেয়ে বেশি মানুষ অমিত শাহের নাম করেছেন৷ মোদির পর তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে আগ্রহী ২৯ শতাংশ মানুষ৷ দ্বিতীয় পছন্দ হিসাবে এসেছে যোগী আদিত্যনাথের নাম৷ ২৫ শতাংশ মানুষ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে আগ্রহী৷ আর ১৬ শতাংশ মানুষ কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকডি়র নাম বলেছেন৷
কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন৷ অনেকেই এক বাক্যে মানেন, মোদীর জনপ্রিয়তা থাকলেও ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন ঘটাতে যে সংগঠন এবং কুশলি পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেই কাজে অমিত শাহের সমকক্ষ একজনও নেই৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে অভ্যস্থ শাহ লোকসভার পাশাপাশি সব রাজ্যেই বিধানসভা ভোটে দলের তরফে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন৷ প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার, নির্বাচনী ইস্তাহারের বিষয় নির্ধারণ, সব বিষয়েই দলকে দিশা দিচ্ছেন তিনি৷
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকা দলে সমাদৃত৷ রাজ্যে বিরোধীরা এখনও তাঁকে বেকায়দায় ফেলতে পারেনি৷ ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রেখে তিনি ৩৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছেন৷ ৩৫ বছর পর যোগীই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি টানা দুই টার্ম রাজ্য শাসনের সু়যোগ পেয়েছেন৷
মোদীর পর প্রথম পছন্দ হিসাবে দীর্ঘ সময় দলের আলোচনায় ছিল নীতিন গড়কডি়র নাম৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের কাছের মানুষ, নাগপুরের সাংসদ গড়কডি়র সঙ্গে বিরোধীদেরও সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর৷ কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী সংসদে দাঁডি়য়ে গডকডি়র কাজের প্রশংসা করেছেন৷