ওড়িশায় শুয়োর ধরার জালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনটি হাতির মৃত্যু

শুয়োর ধরার জালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনটি হাতির মৃত্যু। রবিবার রাতে ওড়িশার সম্বলপুর জেলার নকটিদেউল রেঞ্জে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। বদমাল বনাঞ্চলে শিকারিরা বন্য শুয়োরকে আটকানোর জন্য বৈদ্যুতিক তারের একটি মারাত্মক ফাঁদ ফেলেছিল। সেই জালেই আটকা পড়ে হাতিগুলির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বনবিভাগের কাছে চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তিনটি হাতি মারা গিয়েছে, যার মধ্যে একটি ছোট হাতি রয়েছে। ওই তিনটি হাতি খাবারের সন্ধানে নাকটিদেউল রেঞ্জে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই সময় তিনটি হাতিই বৈদ্যুতিক তারের জালে আটকা পড়ে এবং পরে তাদের মৃত্যু হয়। বন্য শুয়োর শিকারের জন্য শিকারীরা এই ফাঁদ তৈরি করেছিল, কিন্তু অসাবধানতাবশত এই হাতিগুলি তাতে আটকা পড়ে। বৈদ্যুতিক শক খুব শক্তিশালী ছিল। তাই ঘটনাস্থলেই তিনটি হাতি মারা যায়।

রবিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করে তিনটি হাতি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এই দৃশ্য দেখে গ্রামবাসীরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বন দফতরকে জানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন বনকর্মীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চোরাশিকারিরা এই ফাঁদ তৈরি করেছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে বন্যপ্রাণী সদর দপ্তর একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে।


এই ঘটনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গাফিলই এবং অবৈধ শিকার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে এনেছে। পরিবেশবাদীরা এই ঘটনাটিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য একটি বড় সতর্কতা হিসেবে চিহ্নিয় করছেন এবং অবৈধ চোরা শিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন।