• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

‘যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’  ভারতীয়দের উপর হামলার ঘটনায় ঘোষণা বাইডেনের প্রশাসনের

ওয়াশিংটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি –  আমেরিকায় ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপর হামলার ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। গত দেড় মাসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’জনের। এই পরিস্থিতিতে দেশে ভারতীয়দের উপর হামলা নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের তরফে এই ধরনের হামলার নিন্দা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের আধিকারিক জন কিরবি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কোনও হিংসাকেই আমেরিকা

ওয়াশিংটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি –  আমেরিকায় ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপর হামলার ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। গত দেড় মাসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’জনের। এই পরিস্থিতিতে দেশে ভারতীয়দের উপর হামলা নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের তরফে এই ধরনের হামলার নিন্দা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের আধিকারিক জন কিরবি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কোনও হিংসাকেই আমেরিকা সমর্থন করে না।

গত দেড় মাস যাবৎ ভারতীয়দের উপর হামলার ঘটনা বাড়ছে আমেরিকায়। গত এক মাসে চার ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষ বার্তা দিল হোয়াইট হাউস। জানানো হয়েছে, ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়াদের উপর হামলা ঠেকাতে কঠোর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। বারবার কেন মার্কিন মুলুকে হামলার মুখে পড়ছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা ? এই বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হোয়াইট হাউসের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক জন কিরবি। সাংবাদিক সম্মেলনে কিরবিকে ভারতীয়দের উপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি উত্তরে বলেন, ‘‘হিংসার কোনও অজুহাত হয় না। জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনও হিংসাই  সমর্থনযোগ্য নয়। আমেরিকায় এসব বরদাস্ত করা হবে না।’’
 
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের হামলা বন্ধ করার জন্য আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট চেষ্টা করছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যারা এই হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তাদেরকেও বার্তা দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
 
চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকার বি‌ভিন্ন প্রদেশে অন্তত ৬ জন ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। উঠেছে খুনের অভিযোগ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আত্মহত্যার পিছনে ইন্ধনও দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আমেরিকায় ভারতীয়রা বর্ণবৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠছে। 
 
এসব হামলার পরেও আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, ভারতীয়রা নির্দ্বিধায় সেদেশে পড়াশোনা করতে পারেন। তার পরেই ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে আলাদা করে বার্তা দিল মার্কিন প্রশাসন।
 
আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বারবার চাপ সৃষ্টি করেছে দিল্লি। কূটনৈতিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক আবহে ‘বন্ধু’ ভারতকে একেবারেই চটাতে রাজি নয় আমেরিকা। কারণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনকে রুখতে ভারত অন্যতম ভরসার জায়গা। হোয়াইট হাউসের এই বার্তা যে কোন পরিস্থিতিতে দুই দেশের ঐক্যের ইঙ্গিতবাহক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।