সংবিধানের নামে রাজনীতি করছে কংগ্রেস এবং আরজেডি, এমনই মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি। বিহারের গয়ায় এক নির্বাচনী সভা থেকে তিনি বলেন, ‘অহংকারী জোটের নেতাদের এই নির্বাচনে শাস্তি দেবে জনতা।যাঁরা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের শাস্তি জনতাই দেবে। ভারতকে বিকশিত করার লক্ষ্যে বাধা সৃষ্টি করছে বিরোধীরা।’
বিহারের গয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারের নির্বাচনে লড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তানি আবাম মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা জিতেন রাম মাঝি। তাঁর সমর্থনেই এদিন বিহারের গয়া থেকে জনসভা করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে, বিকশিত বিহারের লক্ষ্যে।’
মোদি এদিন আরও বলেন, ‘সংবিধানের নামে মিথ্যা রটাচ্ছে কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলগুলি। আমায় মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে ওরা। এনডিএ দেশের সংবিধানকে সম্মান করে। বাবাসাহেব আম্বেদকরও স্বয়ং আর এই সংবিধান বদল করতে পারবেন না। ওরা সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করে। ওরা লোকসভায় একটা আসনে জেতারও যোগ্য নয়। ওদের শাস্তি প্রাপ্য।’
বিহারে আরজেডি দুর্নীতি এবং গুণ্ডারাজের প্রতীক। তিনি বলেন, ‘আরজেডি বিহারে কেবলমাত্র দু’টি জিনিস দিয়েছে। জঙ্গলরাজ এবং দুর্নীতি। কংগ্রেস সমৃদ্ধ ভারত হতে দিচ্ছে না। আরজেডি এবং কংগ্রেস সামাজিক ন্যায়ের নাম করে কেবলমাত্র রাজনীতি করে চলেছে।’
নরেন্দ্র মোদি জনসভার আগে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বিহারের মাটি, গণতন্ত্রের পীঠস্থান। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-এনডিএ-কে বড় ব্যবধানে জয় এনে দেবে এই পবিত্র মাটি। আজ আবার আমার সৌভাগ্য সেই মাটিতে দাঁড়িয়ে আমার বিহারের পরিবারের মানুষের মাঝে বক্তব্য রাখার। বিহারের মানুষের থেকে অপরিসীম ভালোবাসা এবং সম্মান পাই আমি।’
এদিকে মোদির বিরুদ্ধে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এখন স্বয়ং বিরোধীদের তরফে মোদীর বিরুদ্ধে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলের অভিযোগ তুলেছে। যার জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এখন স্বয়ং বাবাসাহেব আম্বেদকর এলেও ভারতের সংবিধান বদল করতে পারবেন না।’