দান্তেওয়াড়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু ৩৬ মাওবাদীর

ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়ায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মাওবাদীদের গতিবিধির বিষয়ে নজর ছিল নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকদের। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ৩৬ জন মাওবাদী মারা গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে একটি জঙ্গলে চলে গুলির লড়াই।

২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ মুক্ত করতে হবে, এমনটাই বলেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। নেন্দুর-থুলথুলির নিকটবর্তী জঙ্গলে হয় গুলির লড়াই। মাওবাদীদের শেষ করার ক্ষেত্রে গত ২৪ বছরে এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য, এমনটাই দাবি পুলিশ প্রশাসনের।

বস্তার রেঞ্জের আইজি বলেন, ‘নির্দিষ্ট তথ্য থাকায় নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া জেলার অবুঝমাড় জঙ্গলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। মাওবাদীরা ওখানেই আছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছিল। তারপরই অভিযান চালানো হয়। নিরাপত্তা বাহিনী এসেছে তা বুঝতে পেরে জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলি চালাতে থাকে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে যৌথ বাহিনী।’


ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বড় অভিযানে সাফল্য এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন।’

৩০ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি ৬ মাওবাদীর দেহ এখনও মেলেনি। গভীর জঙ্গলের মধ্যে আরও মাওবাদীরা লুকিয়ে আছে কিনা সেই জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই গভীর জঙ্গল কার্যত দুর্গ মাওবাদীদের। নিহত মাওবাদীদের থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি একে ৪৭ রাইফেল, একটি এসএলআর ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।