• facebook
  • twitter
Thursday, 17 April, 2025

বিহারে বাজ পড়ে ২২ জনের মৃত্যু

বেগুসরাই জেলায় সর্বাধিক পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দ্বারভাঙায় চারজন, মধুবনিতে তিনজন এবং সমস্তিপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু হল ২২ জনের। বেগুসরাই ও দ্বারভাঙা জেলায় সর্বাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বেগুসরাইতে পাঁচজন, দ্বারভাঙায় পাঁচজন, মধুবনিতে চারজন, সহর্ষাতে দু’জন, ঔরঙ্গাবাদে দু’জন, সমস্তিপুরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বেগুসরাই জেলার মুফাসসিল, ভগবানপুর, বালিয়া এবং সাহেবপুর কমল থানা এলাকায় পাঁচটি মৃত্যু ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন।

মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মাঠে কাজ করছিলেন। আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় বাজ পড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। মধুবনীর অন্ধ্রথার্ডি ব্লকে বজ্রপাতে একটি মন্দিরের চূড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর সহর্ষায় একটি গাছে আগুন লেগে যায়।

আগামী কয়েকদিন রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার কথা বলেছে হাওয়া অফিস। কালবৈশাখীর দাপট চলবে আগামী চার-পাঁচদিন। খোলা আকাশের নীচে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক জারি করা পরামর্শগুলি অনুসরণ করুন। খারাপ আবহাওয়ার সময় ঘরে থাকুন এবং নিরাপদ থাকুন।’

বিহারের আবহাওয়া বিভাগ রাজ্যের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি, বজ্রপাতের সঙ্গে প্রতিকূল আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। পাটনা, দ্বারভাঙা, শেওহর, সীতামারি, খাগরিয়া এবং আরও বেশ কয়েকটি নদী সংলগ্ন এলাকায়। টানা দু’দিন দিনভর বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে উত্তর ও মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে। দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশে লু বইবে।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টির জন্য রবি শস্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি আম, লিচুর ক্ষতি হয়েছে চম্পারন, মধুবনি, মুজাফফরনগর, দরভাঙ্গা, সীতামারহিতে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক সপ্তাহ পরে ঘরে ফসল তোলার কথা ছিল। তার আগেই বিপর্যয় ঘটল। প্রসঙ্গত ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য বাজেট অধিবেশন চলাকালীন উপস্থাপিত বিহার অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-২৫ অনুসারে, কেবল ২০২৩ সালেই বজ্রপাত ও বজ্রপাতজনিত ২৭৫ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।