সংসদে সাংবাদিকদের চলাফেরার উপর আরোপিত বাড়তি বিধিনিষেধ থাকছে না, জানালেন ওম বিড়লা 

দিল্লি, ২৯ জুলাই – সংসদে সাংবাদিকদের চলাফেরার উপর আরোপিত বাড়তি বিধিনিষেধ আর থাকছে না। সোমবার সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের বিক্ষোভের পর এমনই জানালেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর স্পিকার তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন। সোমবার সংসদে সাংবাদিকদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদের অন্যতম প্রবেশপথ ‘মকরদ্বার’ পর্যন্ত সাংবাদিকরা যেতে পারবেন না। এমনকি, সাংসদদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের নির্দিষ্ট এলাকাতেই থাকতে হবে। এই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সোমবার সংসদ চত্বরে প্রতিবাদে সরব হন সাংবাদিকরা। ‘প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে সংসদের নয়া বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়। সাংবাদিকদের এই প্রতিবাদে পাশে দাঁড়ায় বিরোধীরাও। তাদের দাবি, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার ।

প্রতিদিনই বহু সাংবাদিক খবর সংগ্রহ করতে সংসদে যান, কথা বলেন সাংসদদের সঙ্গে। সংসদের ভিতরে ঢুকতে না পারলেও অনেক সাংবাদিক সংসদ চত্বরেই ঘুরে বেড়ান খবরের আশায়। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবার থেকে সংসদ চত্বরের সর্বত্র সাংবাদিকরা যেতে পারবেন না। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে সোমবার সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংসদের মকরদ্বার পর্যন্ত সাংবাদিকেরা প্রবেশ করতে পারবেন না। একটি নির্দিষ্ট ঘেরাটোপের মধ্যে তাঁদের গতিবিধি সীমিত থাকবে। সংসদের খোলা এলাকাতে সাংবাদিকদের ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনকি, সাংসদদের সঙ্গে কথা বলতে হলে সাংবাদিকদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া এলাকার মধ্যে থেকেই তা করতে হবে।

এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই সাংবাদিক মহলে শোরগোল পড়ে যায় । বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবিতে সোমবার অনেক সাংবাদিক সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। সমাজমাধ্যমে অনেক সাংবাদিক  ‘প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া’ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে পোস্ট করেন।


সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদদের। সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব জানান, এ বার সাংবাদিকেরা তাঁদের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। তাদের দাবি, বিজেপি ভয় পেয়েছে, তাই এমন বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে সাংবাদিকদের উপর। তবে লোকসভার স্পিকারের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়। তিনি জানান, বাড়তি কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না সাংবাদিকদের উপর।

এই বিধিনিষেধ কেন আরোপ করা হয়েছিল তা জানান ওম বিড়লা। তাঁর দাবি, কৃষক সংগঠনের নেতাদের আসায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হওয়ার কারণেই ওই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।