সালিশি সভায় বিচারের পর মারধর তাতেও সাধ না মিটলে শেষে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এক যুবককে। জীবিত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ যুবককে মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অসমের ন’গাঁওয়ের লালুং গাঁও এলাকায়। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সামাগুড়ি পুলিশ স্টেশন এলাকায় দিন কয়েক আগে একটি সালিশি সভা বসে। সেখানে খুনের বিচার চলছিল।
গ্রামের মাথাদের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত যুবক রঞ্জিত বড়দোলুই। শাস্তিস্বরূপ তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
পরে তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে জীবন্ত অবস্থায় তাঁকে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পর পুলিশ খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে। কিন্তু কেন এমন ঘটনা?
মাস কয়েক আগে ন’গাওঁয়ে পুকুরে ডুবে এক বধূর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
পুলিশে না জানিয়েই দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর কয়েকদিন পর ওই এলাকারই বাসিন্দা সবিতা মৃত্যুর দায় স্বীকার করে।
জানায়, নববধূকে সেই খুন করেছে। এরপরই সালিশি সভা বসে এলাকায়। অভিযোগ ওঠে, সবিতা কালা জাদু করত।
বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত মহিলা জানায়, তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছে রঞ্জিত। এরপরই তাকে ডেকে এনে বিচার চলে। দোষী সাব্যস্ত করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
খবর পেয়ে দিন কয়েক পর গ্রামে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দেখা যায়, রঞ্জিত বড়দোলুইয়ের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের দাবি, জীবিত অবস্থায় রঞ্জিতকে পুঁতে দিয়েছিল গ্রামবাসীরা।