কোভিশিল্ড বিতর্কে ইতি টেনে ভারত বায়োটেকের জবাব
দিল্লি, ৩ মে– ‘আমাদের ভ্যাকসিনে কোনও সাইড এফেক্ট নেই৷ প্রথমে নিরাপত্তা এবং তারপর কার্যকারিতার উপর ফোকাস করেই কোভ্যাক্সিন বানানো হয়েছিল৷’ এমনই বার্তা দিয়েছে কোভ্যাক্সিন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক৷ এখন অ্যাস্ট্রজেনেকা স্বীকার করেছে যে, তাঁদের ভ্যাকসিন থেকে বিরল সাইড এফেক্ট হতে পারে৷ এই খবরে যখন দেশ তোলপাড় তখন বিবৃতি দিল কোভ্যাক্সিন কর্তৃপক্ষ৷
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে যখন দেশ আতঙ্কিত তখন স্বস্তি মেলে ভ্যাকসিনের খবরে৷ মূলত কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া শুরু হয় ভারতে৷ যদিও অধিকাংশ মানুষই অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা নিয়েছিলেন যা ভারতে কোভিশিল্ড নামে বানিয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট৷
এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে পোস্ট করে সংস্থার আরও দাবি, কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসূচিতে কোভ্যাক্সিনই একমাত্র ভ্যাকসিন যা ভারতে কার্যকারিতার পরীক্ষা চালিয়েছিল৷ ভারত বায়োটেক স্পষ্ট দাবি করেছে, তাঁদের ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত ঘটনার রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত নেই৷
কোভিশিল্ড যারা নিয়েছেন তাঁদের অনেকের মধ্যে থ্রম্বোসিসের সঙ্গেই থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম দেখা দিয়েছে৷ অর্থাৎ একদিকে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করেছে, অন্যদিকে দ্রুত কমেছে প্লেটলেটের সংখ্যা৷ এই বিরল রোগে কারণেও মৃতু্যও হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল আগেই৷
এতদিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা এই ব্যাপারে কোনও স্বীকারোক্তি দেয়নি৷ সম্প্রতি ব্রিটেন আদালতে তাঁরা স্বীকার করে দেয় যে, এমনটা হতে পারে তাঁদের ভ্যাকসিন থেকে, যদিও সেটা বিরল ঘটনা৷
কোভিশিল্ড টিকায় ভারতীয়দের কি বিরল রোগ হতে পারে? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ লাখের মধ্যে একজনের ভ্যাকসিনের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তার মানে বড় সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিনের ডোজে সুরক্ষিত৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্বোচ্চ ৬ মাস পর স্পষ্ট হয়ে যায়৷ ভ্যাকসিন পাওয়ার দুই-আড়াই বছর কেটে গিয়েছে, এতদিনে যখন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি৷ তাই টিকায় মারাত্মক কিছু হবে তেমন ঝুঁকি নেই৷