গােটা দেশজুড়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর পদে রয়েছেন সনিয়া গান্ধি। পূর্ণ সময়ের সভাপতি নেই কংগ্রেসে দীর্ঘদিন হল। কংগ্রেস পালহীন নৌকার মতাে। কে যে কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা নিজেরাই বুঝতে পারছেন না।
এমনটাই বলছেন কংগ্রেসের প্রভাবশালী শীর্ষ নেতারা। এরই মধ্যে পাঞ্জাবের ঘটনা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে আরও প্রকট করেছে। এদিকে পাঞ্জাব কংগ্রেসে চুড়ান্ত ডামাডােলের মধ্যে ফের সনিয়া গান্ধিকে পত্রবােমা জি-২৩ নেতার।
বুধবার কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ দলের পূর্ণ সময়ের সভাপতি নির্বাচন চেয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন সনিয়াকে পাঠানাে চিঠিতে। পাশাপাশি, মুখ খুলেছেন আরেক বিদ্রোহী নেতা কপিল সিব্বল। পাঞ্জাবে কংগ্রেসে একের পর এক নাটকীয় ঘটনার মধ্যে বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সিব্বল বলেছেন, কংগ্রেসে কোনও নির্বাচিত সভাপতি এখন নেই। তবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কে সরাসরি না হলেও গান্ধি পরিবারই তার নিশানায় এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কপিল সিবুল বলেছেন, “আমরা জি -২৩, অবশ্যই জি হুজুর-২৩ নই। ইস্যু তুলতেই থাকব।
সিব্বল আরও বলেছেন, “কেন লােকজন দল ছাড়ছে এটা কি আমাদেরই ভুল, হতে পারে আমরা দেখব। অবিলম্বে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটা বৈঠক ডাকা উচিত, অন্ততঃ যাতে একটা আলােচনা হয়। আমরা তাে দলের আদর্শ ছেড়ে আর কোথাও যাব না।
কংগ্রেসের পরিহাসের ব্যাপার হল, যাঁরা ওঁদের (গান্ধি) কাছে, তারা। চলে গেলেন, আর যারা নিজেদের ওঁদের কাছে বলে ভাবেন না, তারা থেকে গেলেন। সিৰ্বল এও বলেন, কংগ্রেসই একমাত্র দেশটাকে বাঁচাতে পারে।