দেশে গণতন্ত্রের অভাব বলে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বললেই জঙ্গি তকমা পেতে হয়। যদি আরএসএস প্রধানও বিরুদ্ধে বলেন তিনিও ছাড় পাবেন না।
আক্রমণের পাশাপাশি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন রাহুল গান্ধি। কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাহুল। তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা রাষ্ট্রপতি ভবনে বৃহস্পতিবার এক স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন। যদিও পুলিশ প্রিয়াঙ্কা-রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতাদের আগেই আটকে দেয়।
রাহুল-সহ কংগ্রেসের একটি নেতা প্রতিনিধি দলকে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে ছাড়া হয়। প্রিয়াঙ্কা-সহ অনেক নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘কাছের পুঁজিপতিদের জন্য কাজ কছেন প্রধানমন্ত্রী মােদি। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই জঙ্গি তকমা পেতে হবে। সে কৃষকই হােক, শ্রমিকই হােক, বা মােহন ভাগবত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে গণতন্ত্র নেই। আপনারা যদি কেউ আছে ভাবেন সেটা কল্পনায় আছে।’
প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণের সঙ্গে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় চলা কৃষক বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ ও দাবি করেছেন রাহুল। এই কৃষি আইন নিয়ে আলােচনার জন্য সাংসদে ফের আলােচনার দাবিও তুলেছেন। তাঁর অভিযােগ, কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি করে গায়ের জোরে এই আইন পাশ করিয়েছিল। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘পাপী’ বলে অভিহীত করেছেন।