পরপর দু’বার দেশজুড়ে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। আর জয়ের মুখ নরেন্দ্র মােদি হলেও কারিগর কিন্তু অমিত শাহ। তাঁর হাত ধরেই ৩০০ ছাড়িয়েছে বিজেপি। তাই তিনি নিজে সাংসদ হওয়ার পর দলের দায়িত্ব সামলাবেন কে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সব জল্পনা আপাতত একপাশে সরিয়ে রাখা যেতে পারে। কারণ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আপাতত থাকছেন অমিত শাহই।
বিজেপি সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনই নতুন কাউকে দলের সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেয়নি বিজেপি। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সামলানাের পাশাপাশি দলও সামলাবেন অমিত। আজই সব রাজ্যের বিজেপি সভাপতিদের সঙ্গে দেখা করেন অমিত সাহ। জানা গিয়েছে দলের সদস্য বাড়ানাে নিয়ে কথা হয়েছে সেই বৈঠকে। পরবর্তীকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবেন, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আরও কয়েক মাস পরে। অক্টোবর-নভেম্বরে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
সামনেই মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সে দিকে তাকিয়ে এখনই সংগঠনের দায়িত্ব অন্য কারও হাতে দিতে রাজি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। এমনিতে তিন বছরের মেয়াদ থাকে বিজেপি সভাপতির। অমিত শাহের মেয়াদ শেষ হয়েছে এই বছরের শুরুতেই। কিন্তু দল তাঁকে ঐ পদে থেকে যাওয়ার অনুরােধ জানায়। লােকসভা নির্বাচনেও তাই অমিত শাহকেই দায়িত্বে রেখে দেয়া হয়েছিল। আর তার হাত ধরেই ৩০০ আসন পেরিয়েছে বিজেপি।
এদিকে তিনি আবার গান্ধিনগর থেকে ভােটেও লড়েছিলেন এবার। জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন। তাই তাঁকে সরকারে আনাহবে নাকি সংগঠনের দায়িত্বেই রাখা হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন নরেন্দ্র মােদি। তাই দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছিল। এমনকী বিকল্প খোঁজার কাজও শুরু হয়েছিল। সভাপতি পদের জন্য জেপি নাড্ডার নামও শােনা যাচ্ছিল। খুব বেশি শিরােনামে না থাকলেও বিজেপি’র অন্দরে তিনিই যে প্রধান স্ট্রাটেজিস্ট, তা অনেকেই মনে করেন। বিশেষ করে নরেন্দ্র মােদি তাে বটেই। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছিল দল। আর লােকসভায় সেই রাজ্যে ৮০টির মধ্যে ৬২টি আসন পেয়েছে দল।