সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চললেও কূটনৈতিক স্তরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি এখনও পর্যন্ত হয়নি। হাসিনা সরকারের জমানায় পুজোর মরসুমে এপার বাংলায় ইলিশ পাঠাত বাংলাদেশ। ইউনূস সরকারের আমলেও সেই ধারা বজায় রাখা হয়েছে। এবারও ভারতে ইলিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সে দেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সেপ্টেম্বর মাসে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘ দুই সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকুক আমরা সেটাই চাই। মানুষও তাতে যুক্ত হোক। সম্পর্ক মানুষকেন্দ্রিক হতে হবে । তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও তা প্রশমন করা সম্ভব।’
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতির প্রকাশ্যে এসেছে। এর প্রভাব দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর পড়তে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার পর সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি।