তিনি অধ্যাপক লালন কুমার । বিহারের মুজফফরপুরের নীতীশেশ্বর কলেজের হিন্দি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।
গতকাল তিনি স্থানীয় বিআর আম্মেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের হাতে ২৩ লাখ, ৮২ হাজার ২২৮ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন। গত ৩৩ মাসে ওই কলেজে শিক্ষকতার জন্য এই অর্থ তিনি বেতন বাবদ পেয়েছিলেন। কেন বেতনের টাকা ফেরালেন তিনি?
অধ্যাপক কুমার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, এই ৩৩ মাসের প্রতিটি ক্লাসে তিনি হাজির থেকেছেন।
কিন্তু একদিনও ক্লাসে একজন ছাত্রকে দেখতে পাননি। দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে এসেছেন। তাই বিবেকের ডাকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, না পড়িয়ে বেতন নেব কীভাবে?
অধ্যাপক লালন কুমারের এই সিদ্ধান্তে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিহারের শিক্ষা মহলে। উচ্চশিক্ষার হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কলেজটিতে ১১০০ ছাত্রর একটি বিষয় হল হিন্দি। ওই বিভাগে অধ্যাপক কুমার একমাত্র রেগুলার শিক্ষক। মূলত অতিথি অধ্যাপকদের নিয়ে চলে বিভাগটি।
কোনও ক্লাসে একজন পড়ুয়াও না আসার বিষয়টি জানাজানি হতে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আরকে ঠাকুরের বক্তব্য, আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে, বাকি বিভাগ গুলির কী হাল। কলেজের প্রিন্সিপ্যাল মনোজ কুমার ও অবশ্য ওই অধ্যাপকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাঁর বক্তব্য, ওই অধ্যাপক আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে চান। তাই এত সব নাটক তৈরি করেছেন। যদিও ছাত্রদের হাজিরা খাতা বলছে, অধ্যাপক কুমারের ক্লাসে কেউ উপস্থিত থাকেনি।