বারে বারে আতঙ্ক বাড়ানোই যেন করোনার রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশে ইতিমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার পজিটিভিটি রেট। যা দাঁড়িয়েছে ৪.২৭ শতাংশে।
অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলে তাঁদের মধ্যে ৪ জনের বেশি মানুষ এই মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন দেশের করোনা পরিসংখ্যানের এই দিকটিই এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক।
সার্বিকভাবে রবিবার গত কয়েকদিনের তুলনায় কোভিড পরিসংখ্যান খানিক স্বস্তি দিলেও এই পজিটিভিটি রেট রীতিমতো চিন্তা বাড়াচ্ছে।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ১০৩ জন। যা গতকালের থেকে সামান্য কম।
আক্রান্তের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে কেরল। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর অবস্থাও তথৈবচ। সবচেয়ে চিন্তায় রাখছে দেশের পজিটিভিটি রেট।
বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষ ১১ হাজার ৭১১ জন। যা গতকালের থেকে ২ হাজার ১৪৩ জন বেশি।
দেশে অ্যাকটিভ কেসের ০.২৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে খানিকটা বেশি। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ১৯৯ জন।
করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি সুস্থতার হারও চিন্তাজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫১৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৩ হাজার ৯২৯ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৪ শতাংশ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফের আসরে নেমেছে কেন্দ্র। উপসর্গযুক্ত রোগীদের পরীক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে।
মে মাসেও যেখানে করোনার দৈনিক গ্রাফ একশোর নিচে নেমে গিয়েছিল, বর্তমানে বাংলায় হু হু করে বেড়ে চলেছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও। চিন্তায় রাখছে কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা।
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২২ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ১৫০০-র নিচে। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে আক্রান্ত ৭০১ জন।
এরপরই সংক্রমিতের তালিকায় রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই দুই জেলায় একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৪৫৫ এবং ১১০ জন।