বেঙ্গালুরু– এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক৷ আইপিএলে বিরাট কোহলিরা যা এতদিন করে দেখাতে পারেননি, সেটা টুর্নামেন্টের শুরুতে মেয়েরা করে দেখাতে পাগল হয়ে উঠলেন ক্রিকেট ফ্যানরা৷ চেন্নাই বা মুম্বইয়ের শহরে এ ছবি আজকাল সেভাবে দেখা যায়না৷ কারন ওরা দুজনেই পাঁচবার ট্রফি জিতেছে৷ তাই তাদের কাছে ব্যাপারটা কিছুটা পুরনো হয়ে গিয়েছে৷ কিন্ত্ত বেঙ্গালুরুতে ক্রিকেটের ট্রফি তো আসেনি৷ তাই তারা রাস্তায় নেমে পড়লেন উৎসব করতে৷ দিল্লি ক্যাপিটলসের মেয়েদের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে জিতে মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগ আরসিবি-র হাতে৷ স্মৃতিরা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বছরে চমক দিয়ে ক্রিকেট ফ্যানদের খুশিতে ভরিয়ে দিলেন৷ ওদের মুখে শোনা গেল -এ সালা কাপ নামডে৷ এর অর্থ কাপ আমরা জিতেছি৷
গতবার টুর্নামেন্টের প্রথম বছর কিছুই করে দেখাতে পারেননি স্মৃতিরা৷ এবার সবাইকে পিছনে ফেলে জিতে নিলেন সেরার শিরোপা৷ খেলার শেষে স্মৃতি বলছিলেন, আগেরবার আমাদের অনেক ভুল হয়েছিল৷ সেই ভুলের মাশুল দিয়ে ফাইনালের আগে আমরা ছিটকে যাই৷ তারপর টুর্নামেন্টের রিভিউ করতে বসে দেখি কোথায় কি ভুল করেছি৷ এ ব্যাপারে বলে রাখি যে, ম্যানেজমেন্ট সবসময় আমাদের পাশে ছিল৷ আমাদের যা দরকার তা ওরা দিয়েছে৷ কোনও কিছু চাপিয়ে দেয়নি৷ হারের দিনও ওদের পাশে পেয়েছি৷ তাই আমাদের উপর কখনও কোনও চাপ ছিল না৷ এবার লিগে দুবার দিল্লির কাছে আমরা হেরেছি৷ ফাইনালে আবার ওদের সামনে দাঁড়াবার আগে কেউ চাপ বাডি়য়ে দেয়নি৷ এটাই আমাদের সুবিধা করে দিয়েছিল৷ আমাদের দলে কারোর নাম আলাদা করে বলা যাবে না৷ আমরা একটা দল হিসেবে খেলেছি৷ কেউ সামনে থেকে দলকে টেনেছে৷ কেউ অল্প রান করলেও দলের জন্য ঝাঁপিয়ে পডে়ছে৷ এই সব কারনেই জন্য আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি৷
এবারের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আরসিবি একটি ক্যাম্প করেছিল৷ সেখানে গতবারের ব্যর্থতার কারন সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ কী করলে সামনে পা ফেলা যাবে, সেটাও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ তাই টুর্নেমেন্টে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা সহজ হয়ে যায়৷ তার উপর দিল্লির ১১৩ রানের টার্গেট পার করতে কখনও ম্যাচ হেরে যাবে, এমনটা মনে হয়নি৷ তবু একসময় বিনা উইকেটে ৬৪ থেকে নিমেষে তিন উইকেট চলে যায়৷ তবু ম্যাচ হাত থেকে বের হতে দেয়নি আরসিবি ক্রিকেটাররা৷ এ ব্যাপারে দলের তারকা ক্রিকেটার এলিস পেরির কথা বলতে হবে৷ আর বল হাতে শ্রেয়াঙ্কা পাতিলের নামও উঠে আসবে৷ শ্রেয়াঙ্কা ১২ রানে চার উইকেট নেন৷ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ে আরসিবি পেল ৬ কোটি টাকা৷ দিল্লির হাতে এল ৩ কোটি টাকা৷