গত ২ জানুয়ারি কেরলের সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন বিন্দু আম্মিনি। কিছুদিন আগে সেই মন্দিরের দরজা খুলেছে ফের। বিন্দু আম্মিনিও আরও একবার সেই মন্দিরে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুনের সমাজকর্মী তৃপ্তি দেশাই। কিন্তু সােমবার পথে তাদের লঙ্কাগুঁড়াে নিয়ে আক্রমণ করে একদল লােক।
দুই মহিলা সােমবার ভােরে কোচি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে নামেন। পরে তাঁরা কোচির পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান। সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের জন্য তাঁরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চান। কথা ছিল মঙ্গলবার আরও পাঁচ মহিলার সঙ্গে তাঁরা মন্দিরে যাবেন। পুলিশ জানায় এক দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের বিতর্ক শুরু হয়। তারা আম্মিনির মুখে লঙ্কাগুঁড়াে ছুঁড়ে মারে। তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
তৃপ্তি দেশাই বলেন, ২৬ নভেম্বর যেহেতু সংবিধান দিবস, তাই তারা ওই দিন মন্দিরে যেতে চেয়েছিলেন। তৃপ্তি দেশাই জানিয়েছেন, এই আক্রমণের পরেই তিনি সবরীমালা মন্দিরে যেতে চান। তাঁর কথায় ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যেকোনাে বয়সের মহিলারা সবরীমালায় প্রবেশ করতে পারবেন। আমি সবরীমালা মন্দির দর্শন না করে কেরল থেকে যাচ্ছি না।
বিন্দু আম্মিনি কেরলের কামুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এ বছরের শুরুতেই কনকদুর্গা নামে এক মহিলার সঙ্গে সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন। সবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে ইচ্ছুক মহিলাদের একটি ফেসবুক পেজ খােলা হয়। সেখানেই আলাপ হয় বিন্দু আম্মিনির সঙ্গে কনকদুর্গার। তিনি সরকারি কর্মী। তাঁর পরিবারও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরােধী।