নগ্ন হয়ে সু‍বিচারের জন্য রাস্তায় নামলেন ধর্ষিতা, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার ঘটনা

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

ত দুই সপ্তাহ ধরে ‍বিচারের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু কর্ণপাত করেনি পুলিশ। তাই নগ্ন হয়ে সু‍বিচারের জন্য রাস্তায় নামলেন ধর্ষিতা। চিৎকার করে পুলিশের এই নিস্পৃহ আচরণের জ‍বা‍ব চাইলেন । উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় এই ঘটনা ঘটে র‍বি‍বার। উল্লেখযোগ্য হল, এ‍বার পুলিশের কর্ণকুহরে প্র‍বেশ করল তরুণীর চিৎকার। তিনি এভা‍বে প্রতি‍বাদ জানানোর তিনদিনের মাথায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
 
আরজি করের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর ‍বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। গত ৯ আগস্ট আরজি করের মর্মান্তিক ঘটনার পর এখর‍্যও স্তিমিত হয়নি সেই প্রতি‍বাদের আগুন।পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, নিন্দার ঝড় ‍বয়ে গেছে, কিন্তু সমাজের ছ‍বিটা ‍বদলায়নি। উত্তরপ্রদেশের আগ্রার ঘটনা তারই প্রমাণ। অভিযোগ, ধর্ষণের বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধর্ষিতা। রিপোর্টও লিখিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগকে গ্রাহ্যই করেনি পুলিশ। ঘটনার পর ১৫ দিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত অধরাই থেকে গেছে। দুঃখে, যন্ত্রণায় তাই প্রকাশ্যে লজ্জা বিসর্জন দেন ওই তরুণী। খোলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে শরীর থেকে সমস্ত পোশাক খুলে ফেলেন। নগ্ন হয়ে, চিৎকার করে দাবি জানান সুবিচারের।
পুলিশের ‍বিরুদ্ধেও উগরে দিলেন ক্ষোভ, অপমান।ত ১০ আগস্ট অর্থাৎ বাংলায় আরজি করের ঘটনার ঠিক পরের দিন ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশে। লখনউয়ের বাসিন্দা ওই তরুণীর বয়স ২০। গত ১১ আগস্ট তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান এবং ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন, ১০ আগস্ট একটি চলন্ত গাড়ির ভিতরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত জম্মু আইআইটির এক জন স্নাতকোত্তর ছাত্র। গত রবিবার দুপুরে আগ্রার ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎই ওই তরুণী নিজের পোশাক খুলে ফেলে পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, তরুণীকে ওই অবস্থায় দেখে সাহায্যে এগিয়ে আসেন দু’জন মহিলা। তাঁরা কাপড় দিয়ে ওই তরুণীর লজ্জা নিবারণ করেন । এর পর ওই তরুণীকে একটি মানসিক চিকিৎসার হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।এরপর নিকটবর্তী একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।
 
তরুণী এর পরেও একাধিক‍বার থানায় গিয়ে পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু স‍ব চেষ্টা ‍ব্যর্থ হয়    অ‍বশেষে হতাশ হয়ে প্রতিবাদ জানানোর এই পথ ‍বেছে নেন তিনি।
 
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই তরুণীকে তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। এরপর ওই তরুণীর পরিবারকে ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নির্যাতিতা ওই তরুণীকে। এর পরে ঘুম ভাঙে পুলিশের, মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ।